
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভরতপুরে ভর সন্ধ্যায় এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়ে গেলেন। আর তা নিয়ে ফের শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। একুশে জুলাই জুয়ার আসর থেকে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার, পরের দিন হরিহরপাড়ায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এদিন ভরতপুরে তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। মুর্শিদাবাদ জুড়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত থাকায় নির্বাচনের আগে ফের সমালোচনায় ফিরেছে শাসক দল তৃণমূল।
কে এই খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল কর্মী? পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ষষ্ঠী ঘোষ (৫৬)। তাঁর বাড়ি ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের সেহালাই গ্রামে। এলাকায় তিনি একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত। তিনি বুধবার বিকেলে চাষের জমিতে কাজ করার জন্য শ্রমিক খুঁজতে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজ খবর শুরু করেন। এমন সময় বাড়ির কাছেই তাঁর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁর এই খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দই দায়ি কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানুতোর শুরু হয়েছে জেলায়।
যদিও পুলিশের দাবি, ষষ্ঠী নিজেও একজন দুষ্কৃতি। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি সহ বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রসপ্রীত সিং বলেন, ” রোজ থানায় হাজিরা দিত ষষ্ঠী। এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই।” পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রসপ্রীত জানান, ” পুলিশ ঘটনার পিছনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।”
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও বলেন, ” যে খুন হয়েছে আর যারা খুন করেছে বলে জানা যাচ্ছে উভয়েই তৃণমূল কর্মী, এটা ঠিক। কিন্তু এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। টাকা পয়সা সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরেই এই খুন বলে জানতে পেরেছি।”