সংবাদপ্রতিনিধি, কলকাতাঃ দলে হাইকমান্ডের কথাই শেষ কথা। যদি কেউ সে কথা মানতে না পারে তাহলে তাঁকে দল ছাড়তে হবে। শনিবার মুম্বইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে এই ভাষাতেই কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খড়গে। অধীর পাল্টা নিজেকে দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনিও যে হাইকমান্ডের একজন তা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। কিন্তু ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ডিগবাজি খেলেন সেই খড়গেই। সংবাদ মাধ্যমেই অধীরকে ‘লড়াকু নেতা’ বলে সোমবার দাবি করলেন তিনি।
ততক্ষণে বাংলায় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে খড়গে বিরোধিতার ঝড় ওঠে। কর্মীদের মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে নেট দুনিয়া। বিধানভবনে রবিবার খাড়গের ছবিতে কালি পর্যন্ত লাগানোর মতো ঘটনা ঘটে। পরে দুধ দিয়ে সেই কালি মুছে ফেলেন কংগ্রেস কর্মীরাই। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন, তাঁদের সর্বভারতীয় নেতার ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনা বহিরাগতদের কাজ। যা নিয়ে এন্টালি থানায় তাঁরা লিখিত অভিযোগও করেন সোমবার।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন খড়গে বলেন, ” আমি কোনও একজন ব্যক্তিকে কিছু বলিনি। অধীর চৌধুরী আমাদের দলের বাংলার নেতা,একজন লড়াকু নেতা। বাংলায় কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করায় তৃণমূল এই জোটে থাকতে চাইছে না। তারা অন্যভাবে লড়াই করতে চাইছে। কেউ কেউ একথা বলছেন। আমরা বলছি সেটা হবে না। কংগ্রেস যথেষ্ট মজবুত দল এবং একে অপরকে বোঝে। বাংলাতেও কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তেই বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট হয়েছে। আর আমরা তাই নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
এই প্রসঙ্গে বাংলার কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, ” আমরাও প্রথম দিন থেকে এই কথাই বলে আসছি। উনিও আজ সেটাই বলেছেন।”