মৌমিতা চক্রবর্তী, কলকাতাঃ কলকাতার সাধুসন্তদের মিছিল আগামী দু’দফার নির্বাচনে রেফারির ভূমিকা নেবে বলেই মনে করেন “বিতর্কিত” কার্তিক মহারাজ। ভোটারদের একাংশ শাসকদলকে ভোট দেবে না মত ভারত সেবাশ্রম সংঘের এই সন্ন্যাসীর।
রাত কাটলেই দেশের ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। ওই দফায় রাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া আর বিষ্ণুপুর। প্রার্থী তালিকা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে তারকা প্রার্থী রয়েছে। রাজ্য তথা দেশের নজর রয়েছে তমলুক, কাঁথি আর ঘাটাল লোকসভার দিকে। বাম-কংগ্রেস জোট এই আসনগুলিতে লড়াই করলেও মূলত লড়াই এগুলোতে তৃণমূল আর বিজেপি’র।
সেই লড়াইয়ের আগে কলকাতা দেখল সাধু সন্তদের মহামিছিল। শেষ কবে এই দৃশ্য কলকাতাবাসী দেখেছেন তা বলতে পারবেন না প্রায় কোনও প্রবীণ কলকাতাবাসী। বাগবাজার সারদা দেবীর বাড়ি থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল শেষ হয় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে। সেই মিছিল থেকেই উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। কার্তিক মহারাজ নিজে মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে “মিথ্যাবাদী” বলে দাবি করেন “প্রধানমন্ত্রী ওঁর কথায় দুঃখ পেয়েছেন”। মিছিলে উড়ল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার “গৌরব” উচ্চারিত হল মিলিত সাধু কন্ঠে।
এই মিছিল কী কোনওভাবে আগামী দুই দফা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে? আমাদের প্রতিনিধিকে ফোনে কার্তিক মহারাজ বলেন, ” অবশ্যই প্রভাব পড়বে। আমরা নির্দিষ্ট কাউকে ভোট দিতে বলিনি। কিন্তু রাজ্যের ভোটার যারা আশ্রমের শিষ্য, মিশনের শিষ্য, ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা কেউ ভোট দেবে না। এটা নিশ্চিত। এর বাইরে যাঁরা আছেন তাঁরা কী করবেন সেটা তাঁদের ব্যপার। “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি পাল্টা বলেন “বন্দেমাতরম কংগ্রেসের বাপের সম্পত্তি না কি? আমাদের বহুদিনের আকাঙ্খা ছিল রাম মন্দির তৈরির সেটা পূরণ হওয়ায় জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া হয়েছে।”
Jai Shree Ram 🚩