এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ছবি তোলায় কঠোর মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাত পোহালেই মহারণ। মহারণ কাদের ? যে কোনও পরীক্ষা মানেই টেনশন পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তারাও। একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন এসএসসি কতৃপক্ষ। নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

মুর্শিদাবাদ জেলায় রবিবার ৫৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ জন স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেবেন। বহরমপুরে ২৩টি, ডোমকলে আটটি, কান্দিতে ৬টি, জঙ্গিপুরে ১২টি, লালগোলায় ৯টি স্কুল কলেজকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাছা হয়েছে। সেখানে কমিশন নির্দিষ্ট নিয়মকানুন নিয়ে এদিন আলোচনা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাবেক ১৪৪ ধারা জারি থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রের একশো মিটার দূরত্বে। শেষ বেলায় স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে আদালতের নির্দেশে প্রকাশিত টেন্টেড বা দাগি শিক্ষকদের নামের তালিকা, যাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন।

পরীক্ষার্থীদের শরীর তল্লাশি করে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রবেশ করানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে কমপক্ষে পাঁচটি করে মেটাল ডিটেক্টর দেওয়া হয়েছে। শনিবার কোথাও তিন পিরিয়ডে কোথাও চার পিরিয়ডের পরে স্কুলগুলিতে রোল নম্বর বসানোর কাজ হয়েছে। সে সবই সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা। এবং সেখানেই পরীক্ষাকেন্দ্রের কোনও ছবি যেন বাইরে না বেরোয় তারজন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে কড়া সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও সঠিক কত তাও জানাতে চাইছেন না পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকররা।

যদিও পরীক্ষাকেন্দ্রের একাংশ প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য “পরীক্ষা নিয়ে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। যা নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। সরাসরি আদালতের পর্যবেক্ষণে পরীক্ষা না হলেও এসএসসি আদালতের নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে চাইছে। সেই নির্দেশ মেনে পরীক্ষা নিতে চাইছে জেলাও। স্বাভাবিকভাবেই একটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights