
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদে জয়ী হল সিপিএম ও তৃণমূলের নয়া জোট। আর তা নিয়ে তৃণমূলের ঘরে শুরু হয়েছে অশান্তি। সিপিএম অবশ্য এই জয়কে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী অবশ্য বলছেন “এই ধরনের রাজনীতি ধান্দাবাজীর রাজনীতি।”
দুর্নীতির খাতায় নাম লেখানো আয়েশবাগ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ঘিরে এইরকমই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদে। এই সমবায়ে ৯টি আসন। তারমধ্যে ছ’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। কিন্তু ন’টি আসনে প্রার্থী দেয় ক্ষতিগ্রস্থ আমানতকারী ঐক্যমঞ্চ। ওই মঞ্চের আহ্বায়ক সিপিএম নেতা কল্যাণ কুমার নাগ। ৩৫৮ জনের ভোটে জিতে সমবায় পরিচালনার ভার পেয়েছে ওই মঞ্চ। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ এই মঞ্চের সঙ্গেই গোপনে জোট করেছিল তৃণমূলেরই একটা অংশ। স্থানীয় কংগ্রেসর অভিযোগ, “ওই জোটে বিজেপিও আছে।”
বছর পাঁচেক আগে আয়েশবাগ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় ওই ব্যাঙ্কের ৫ হাজার গ্রাহকের গচ্ছিত ২৭.৫ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা অসীম ভট্টের বিরুদ্ধে। সুদ ধরলে এখন অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় ৪০ কোটির কাছাকাছি। পরে তা নিয়ে তদন্তও হয়েছিল। কিন্তু তার ফল কী হয়েছে তা আজও অজানা। সেই সমবায়েই নির্বাচন ছিল বুধবার।
জয় পেয়ে আমানতকারীদের ঐক্যমঞ্চকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিপিএম জেলা নেতৃত্ব। যদিও মুর্শিদাবাদ বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক শাওনি সিংহরায় তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সবুজ আবীর মেখে জয়ী প্রতিনিধিদের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন ” তৃণমূলের বিরাট জয়লাভ #মুর্শিদাবাদ বিধানসভার অন্তর্গত মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের নতুনগ্রাম পঞ্চায়েতের আয়েসবাগ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যাঙ্ক ভোটে।”

তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান এই ঘটনায় দলেরই একটা অংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে তৃণমূলকে হারিয়েছে তৃণমূলেরই একটা অংশ।” কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন ” তৃণমূল সিপিএমের জোট হওয়া মানে ধান্দাবাজের রাজনীতি। এই সমবায়কে লুটে খাওয়ার রাজনীতি। সিপিএম দেখছে একা পারব না, তৃণমূল দেখছে একা পারবো না। এগুলো স্থানীয় স্তরের ধান্দাবাজীর রাজনীতি।”