
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ডোমকলের তৃণমূল নেতার নাম অপহরণ কান্ডে জুড়ে যেতেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াল তৃণমূল। শুক্রবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত সালাউদ্দিন শেখকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের শহর নেতা বলেই চিনতো লোকে।
এক পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে এই অশান্তির শুরু। মোটা টাকার রফায় তাতে নাক গলিয়েছিল ধৃত তৃণমূল নেতা, অভিযোগ এমনটাই। মাঝ অক্টোবরে ডোমকলের দক্ষিণনগরের বাসিন্দা লাল চাঁদ শেখকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতি। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় ডোমকল থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হুমায়ুন কবীর, ডোমকল ব্লকের ভূমি দফতরের ‘দালাল’ সুমন মন্ডল সহ আট জনের।
সম্পর্কিত খবরটি পড়ুনঃ থানার কম্পিউটার অপারেটর হুমায়ুন কেন অপহরণে জড়ালো ভাবাচ্ছে সহকর্মীদের
সূত্রের দাবি, ডোমকলের দক্ষিণ নগরের বাসিন্দা লাল চাঁদ ও তার সৎভাই আজিজুল শেখ ও রবকুল শেখের মধ্যে পারিবারিক একটি জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিবাদ। জমি বিক্রির জন্য লাল চাঁদের সাক্ষরের প্রয়োজন। কিন্তু সে সাক্ষর না করায় তাঁকে অপহরণের ছক কষে আজিজুলরা। সেই ছক সাজানো হয়েছিল চিত্রনাট্য ধৃত সালাউদ্দিনকে সামনে রেখে। পুলিশ লেখা স্টিকার আটকে ছকমতো মাঠে নেমেও পড়েছিলেন দুষ্কৃতিরা। কিন্তু দূর্বল চিত্রনাট্যের জন্য মাঝপথে ভেস্তে যায় ছক। শেষরক্ষা হয়নি।

ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছিল প্রয়াত বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে দলে পরিচিত নেতা সালাউদ্দিন। যদিও গত দু-সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে যেতে বাড়ি ফেরেন নেতা। তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আদালতে তোলা হয় শুক্রবার। তৃণমূলের ডোমকল শহর সভাপতি কামরুজ্জামান মন্ডল সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ” আইন আইনের পথেই চলবে। সে শ্রমিক সংগঠন করে তো কি হয়েছে। অন্যায়ের শাস্তি পেতেই হবে।”
কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তহিদুল ইসলাম বলেন, ” এটাই ওই দলের সংস্কৃতি”। তৃণমূল বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি নিলীমেশ বিশ্বাস বলেন, “এর কোনও পদও নেই কোনও সভাপতি, সহ সভাপতি কেউই নয়। ডোমকলে কোনও কমিটিই তৈরি হয়নি। এটা রটনা। উনি বিধায়কের সঙ্গে থাকতেন বলে নিজের মতো করে পদ তৈরি করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে না রাজ্য না জেলা কারও অনুমোদন আছে কি না আমার জানা নেই। ” ধৃত নেতার ফেসবুক প্রোফাইলে নামের সঙ্গে এখনও অবশ্য জ্বলজ্বল করছে দলের তাঁর পদের নামও।