
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর কাজ। তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের মানুষজনের। তার আগে বহরমপুরে বিতর্ক বেঁধেছে বিডিও-র একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। আজ সোমবার মুর্শিদাবাদের আটটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের সম্পাদক, সভাপতিদের বিএলএ (বুথ লেভেল এজেন্ট)দের ট্রেনিং সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বিডিও। মঙ্গলবার বেলা এগারোটার সময় নবগ্রাম বিধানসভার বিএলএ-দের একটি ট্রেনিং হবে। সেই ট্রেনিংয়ে দলগুলির বিএলএ-দের পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েই এই চিঠি পাঠিয়েছেন বিডিও। সেখানে একটি অক্ষরের ভুল প্রয়োগ। আর তাতেই এসআইআর পর্বে গোল বেঁধেছে বহরমপুরে।
চিঠিতে ৬৫ নবগ্রামের জায়গায় বাবাগ্রাম হওয়া নিয়েই বিতর্কের শুরু। রাত পর্যন্ত সেই চিঠি সংশোধন না হওয়ায় অনেকেই বহরমপুরের না নবগ্রাম কোন বিধানসভার বিএলএ-রা যাবেন ট্রেনিংয়ে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন। কেউ কেউ ফোন করে বিষয়টি জেনে নিয়েছেন বিডিও বা ঊর্ধতন সরকারি আধিকারিকের কাছ থেকে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ” সরকারি দফতর থেকে একটি চিঠি আসছে। অথচ তাতে বানান ভুল। বিডিও সই করছেন চিঠির বয়ান না দেখে।” তিনি আরও বলেন, ” নবগ্রামের পাঁচটে অঞ্চল যা বহরমপুরের মধ্যে আছে। সেই রাধারঘাট ১, রাধারঘাট ২, নিয়াল্লিশপাড়া, গোয়ালজান, সাহাজাদপুরের কথাও চিঠিতে উল্লেখ নেই। বহরমপুরের বিডিও তো নবগ্রাম বিধানসভার সব বিএলএ-দের ট্রেনিং দিতে পারেন না। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না কাদের ডাকা হয়েছে। এইরকম ভুলে ভরা চিঠি এইসময় তো আরও কাম্য নয়।”
এমনকি চিঠিতে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেও লেখা হয়েছে ৩.১১১.২০২৫। ফরোয়ার্ড ব্লকের যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক স্বরূপ দেব তা জানিয়ে বলেন, ” আমি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েছি ভুলটা। তাঁরা বলেছিলেন ভুল সংশোধন করে চিঠি পাঠানো হবে। কিন্তু এখনও চিঠি আসেনি।” এসআইআর খোঁচা দিয়ে স্বরূপ বলেন, ” একটা চিঠির ভুল সংশোধন হল না। বৈধ ভোটারের নাম আবার অবৈধ ভোটারের তালিকায় চলে যাবে না তো?” এরপর তিনি বলেন, ” আসলে শাসককে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছেন আমলারা। সেই চাপের ফল এইধরনে ভুল। তার মাশুল না আবার সাধারণ মানুষকে দিতে হয়, সেটাই আতঙ্কের।” শুধু কি তাই? স্বীকৃত নয় এমন রাজনৈতিকদলের উল্লেখ চিঠিতে থাকায় গোল বেঁধেছে আরও। বহরমপুরের বিডিও অমরজ্যোতি সরকার অবশ্য বলেন, ” ওই চিঠিটি ভুয়ো।”