
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃষ্টির জলে ভেসে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা। অকালে ঝরে গিয়েছে ২৮টি প্রাণ। সমতল প্লাবিত তিস্তা, তোর্ষা, মহানন্দার জলে। ভূমি ধস, জলস্রোতে বিপর্যস্ত বাংলার ভূ-স্বর্গ। আজ উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাওয়ার আগে কলকাতায় মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একইভাবে পুজোর আগে থেকে নদী ভাঙনে বিধ্বস্ত উত্তর মুর্শিদাবাদের একাধিক ব্লক। ভাঙনের জেরে মুছে গিয়েছে লালগোলার তারানগর গ্রাম। পাশে রঘুনাথগঞ্জ ব্লকের রাধাকৃষ্ণপুর মানচিত্রে টিকে থাকতে লড়াই চালাচ্ছে। সামসেরগঞ্জের চাঁচন্ড এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে গত কাল রাত থেকে। ভিটে হারিয়ে বিপন্ন মানুষজন। ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বহু মানুষ। জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফের ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখার সাহসটুকুও অবশিষ্ট নেই। যেদিকে তাকানো যায় শুধুই হা হা কার। তাঁদের অভিযোগ, বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ ঠেকানো যায় না। গঙ্গার পার স্থায়ীভাবে বাঁধানোর দাবি তুলছেন ভাঙন দূর্গতরা।
এই অবস্থায় তাঁরা চাইছেন, শুধু উত্তরবঙ্গ কেন ভাঙন দূর্গতদের জন্য মুর্শিদাবাদেও আসুন মুখ্যমন্ত্রী। স্বচক্ষে দেখে যান, এখানকার মানুষদের। তারানগর পদ্মা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর মিঞা বলেন, “জেলার প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে পারছেন না এখানকার ভাঙন দুর্গতদের অবস্থার কথা। তাই মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে আমার মনে হয়।” জেলার একমাত্র মন্ত্রী আখরুজ্জামান অবশ্য তেমন নয় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী সব জায়গায় যাবেন এটা আমরা সবাই আশা করি। কিন্তু একজন মানুষ সব জায়গায় যেতে পারেন কি? উত্তরবঙ্গে জরুরী অবস্থা হওয়ায় সেখানে তাঁকে যেতে হচ্ছে।”
একইসঙ্গে মন্ত্রী এটাও বলেন, “ সামসেরগঞ্জে এর আগেও ভাঙন দূর্গত এলাকায় গিয়েছেন। এখন সেখানে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে। লালগোলাতেও সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ভাঙন ঠেকাতে। তাছাড়াও ভাঙন দূর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য খাস জমি খোঁজার কাজ চলছে। আর সেগুলো হচ্ছে তো সেই মন্ত্রীসভার মধ্য দিয়েই।”