চলতি মাসের সাত তারিখ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ওই ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে।

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জলঙ্গীর খয়রামারি হাইস্কুলে অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল স্কুল এলাকায়। ওই ঘটনার জেরে সরকারের বেঁধে দেওয়া ভর্তি ফি ২৪০টাকার অতিরিক্ত ফি না নিতে জেলার স্কুলগুলিকে লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীল। কিন্তু তারপরেও অতিরিক্ত ফি নিয়ে পড়ুয়া ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছিল গোরাবাজার আইসিআই স্কুলের বিরুদ্ধেও। আর তা নিয়ে সরব হয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই। চলতি মাসের সাত তারিখ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ওই ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। সেই ঘটনার জল গড়ায় বহুদূর। ন’তারিখ আইসিআই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়ে সেই অতিরিক্ত ফি ফেরানোর নির্দেশ দিলেন ডিআই।
এ দিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস মণ্ডল অবশ্য বলেন “সরকারিভাবে ডিআইয়ের চিঠি আমরা পাইনি। শুনেছি এইরকম একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পেলে পরিচালন কমিটিকে বিষয়টি জানানো হবে। আমি তো আর ফি বৃদ্ধি করি না। যা হয় পরিচালন কমিটিতেই ঠিক হয়।” ডিআইয়ের নির্দেশ আসার আগেই তাঁদের স্কুলে ছাত্র ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে আগে দাবি করেছিলেন আইসিআই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ দিন ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত প্রামাণিক (ডনু) বলেন, “ আমি শুনেছি এইরকম একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরিচালন কমিটিতে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।“ এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য অদিতি নন্দী বলেন, “এই জয় এসএফআইয়ের জয়। আমরা যে ন্যায্য দাবি তুলেছিলাম ডিআইয়ের চিঠিতে তা স্পষ্ট হয়েছে। এখনও যে স্কুলগুলি অতিরিক্ত ফি নিয়েছে তাদের উচিত দ্রুত তা ফিরিয়ে দেওয়া। যেখানে এখনও ভর্তি চলছে তাদের উচিত ডিআইয়ের নির্দেশ মেনে সরকার নির্ধারিত ফি নেওয়া।”
ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিমতলা হাইস্কুল, চক ইসলামপুর এসসিএম হাই স্কুল, মণীন্দ্রনগর হাই স্কুল, সইদপুর ইউএন হাই স্কুল, রঘুনাথগঞ্জ হাই স্কুল, মালডোবা পিকে হাইস্কুল, রঘুনাথগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষককে দ্রুত বাড়তি অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Excessive Fees must be returned.