
বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ পরিকাঠামোর অভাব মিটিয়ে খেলার উন্নয়নই লক্ষ্য জেলাশাসকের। শনিবার দুপুরে বহরমপুর স্টেডিয়ামে পা রেখে সেই বার্তাই দিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া (Nitin Sinhania)। ঠান্ডা ঘরে বসে কাগজ কলমে কাজ নয়, মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা ডিএসএ-র সদস্যদের নিয়ে শনিবার দুপুরে স্টেডিয়ামের পাঁচটা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ, জেলা ক্রীড়া ও যুব আধিকারিক লিটন সাহাকে সঙ্গে নিয়ে কোথায় কী প্রয়োজন জানতে চেয়েছেন ডিএসএ-র কাছে। প্রয়োজনীয় তথ্য নোটবুকে লিখে রেখেছেন বহরমপুর পৌর যুব ও ক্রীড়া আধিকারিক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
কীভাবে ডিএসএ তাঁর নিজস্ব তহবিল বাড়াতে পারে তারজন্য কোনও শর্টকার্ট নয়, খেলার মান উন্নয়ন করে আকর্ষণ করতে হবে উঠতি খেলোয়ারদের তারজন্য যা তহবিল জোগার করতে হবে তা করা হবে বলেও এদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলাশাসক। প্রয়োজনে কমিউনিটি হল তৈরি করে ভাড়া দিয়ে আয় করতে হবে ডিএসএ-কে। দরকার হলে সাংসদ বিধায়কদের কাছে যেতে হবে। কিন্তু মানের সঙ্গে আপস করা চলবে না। পৌরসভার কাছে আবেদন করতে হবে। এক কথায় সবাইকে জুড়ে নিয়ে জেলার খেলার উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক।
বহরমপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফুটবলের পাশাপাশি হকি খেলেও সুনাম কুড়িয়েছে জেলার ছেলেমেয়েরা। এদিন সেই হকি মাঠ তৈরির জন্য যা যা করণীয় তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামের একটা অংশের গ্যালারি ভগ্নপ্রায়। জেলাশাসক সেদিকেও নজর দিয়ে গ্যালারির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কোথায় আলোর অভাব, কোথায় পানীয় জলের অভাব, কোথায় প্রয়োজন আরও শৌচালয়ের এদিন সব কিছু খুঁটিয়ে দেখেছেন তিনি। মাঠের একটা অংশ দখলে গিয়েছে আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের। ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে সেগুলি যাতে একপাশে রাখার ব্যবস্থা করা যায় সে কথাও আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন কোচ খেলোয়ারদের সঙ্গে। জানুয়ারি মাসে জেলার কৃতি খেলোয়ারদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছেন, একইসঙ্গে ডিএসএ-র আয়-ব্যায়ের হিসেবও মেলাতে চেয়ে ফের বৈঠক করবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে আশাবাদী ডিএসএও, দাবি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি। প্রাক্তন খেলোয়ারদের সম্বর্ধনা দেওয়ার কথায় প্রাক্তন খেলোয়ার শেখর সাহা আপ্লুত। দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত জেলাশাসককে মাঠে ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখছেন দেখে অবাক হয়েছেন অভিভাবকরা। ছেলেমেয়েদের খেলাতে নিয়ে আসলেও মাঠে তাঁদের বসার জন্য আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা নেই। ডিএসএ-র সদস্যদের দাবি মেনে জেলাশাসক গ্যালারিতে শেড করে দেওয়ার কথা, ক্যাফেটেরিয়া করার কথা তাঁর ভাবনার স্তরে রেখে নোট করতে বলেছেন, ডিওয়াইওকে। সে সব শুনে খুশি সুদীপ মন্ডল, শিল্পা সাহার মতো অভিভাবকরাও।