
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আদিবাসী মহিলাকে জনসমক্ষে অপমান করায় সাগরদিঘি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনা পাঁচ কান হতে নড়েচড়ে বসেছিল জঙ্গিপুর তৃণমূল সংগঠনও। সে কথা পৌঁছেছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও। দলের সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষকে অপমানের নালিশ শোনা মাত্র সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে মসিউর রহমানকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ডোন্ট কেয়ার! এইভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেওছিলেন ” পদত্যাগ করছি না।”
কিন্তু পুলিশ শীর্ষ মহলের চাপে তাঁর খোঁজখবর শুরু করতেই তিনি পালিয়ে ছিলেন এলাকা ছেড়ে। শেষরক্ষা হল না। কলকাতার পার্কস্ট্রীট এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে তাঁকে প্রথমে আটক ও পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে জঙ্গিপুর পুলিশের একটি বিশেষ দল। যদিও পুলিশ সরাসরি তা স্বীকার করে নি। মসিউরের ঘনিষ্ঠ মহলের অবশ্য গ্রেফতারের আগে দাবি ছিল ,” উনি কোনও দুর্নীতি করেননি, তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না। বর্তমানে উনি অসুস্থ থাকায় কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বিকাশ নন্দ বলেন, “দলের হুইপ মেনে মসিউর রহমানের উচিত ছিল নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। ব্যক্তি কখনও দলের থেকে বড় হতে পারে না। তাঁর এই শাস্তি প্রত্যাশিত।” প্রসঙ্গত, দলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে বললেও মসিউর নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত তিনি তাঁর “মেন্টর” ছাড়া নেননি বলেই দাবি তৃণমূলের একটা অংশের। পুলিশের জালে আটকে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে জঙ্গিপুরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।