
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একটা লম্বা যুদ্ধের পর রবিবার স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (SLST)। সেই পরীক্ষায় ইতিমধ্যে ১ হাজার ৮০৬ জনকে দাগি চিহ্নিত করে একটা তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিলও করা হয়েছে। সে সব কিছু হওয়ার পরেও ভালোয় ভালোয় পরীক্ষা উতরোনো নিয়ে চিন্তায় মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের একাংশ আধিকারিক।
রবিবার সাত সেপ্টেম্বর নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত। ১৪ তারিখ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সেই উপলক্ষে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক ডেকেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। গোরাবাজার আইসিআই স্কুলের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও, জেলা শিক্ষা আধিকারিক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ও অন্য আধিকারিকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসএসসি উত্তরবঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিও। ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরাও।
মুর্শিদাবাদ জেলায় রবিবার ৫৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষা দেবেন। একজন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (SI) অথবা একজন সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে ভেন্যু সুপারভাইজারের দায়িত্ব সামলাবেন। কোথাও কোথাও জয়েন্ট বিডিও সেই দায়িত্বে থাকবেন। তাদের মাথায় থাকবেন একজন আমলা (WBCS EXECUTIVE). মুর্শিদাবাদের পাঁচটি মহকুমায় পরীক্ষা হবে। বহরমপুরে ২৩টি, ডোমকলে আটটি, কান্দিতে ৬টি, জঙ্গিপুরে ১২টি, লালগোলায় ৯টি স্কুল কলেজকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাছা হয়েছে। সেখানে কমিশন নির্দিষ্ট নিয়মকানুন নিয়ে এদিন আলোচনা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাবেক ১৪৪ ধারা জারি থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রের একশো মিটার দূরত্বে।
তবে আঁটোসাঁটো শেষ পর্যন্ত ফস্কা গেরোয় পরিণত হবে বলে একাংশ আধিকারিক মনে করেন। যে যোগ্য, অযোগ্য শিক্ষক বাতিল নিয়ে এতো কান্ড, সেই অযোগ্য বা দাগি শিক্ষকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে কীভাবে চিহ্নিতকরণ করা হবে, সেই প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। কমিশন এই ব্যাপারে এখনও কোনও নিয়ম না জানানোয় ধন্দে পড়েছেন জেলা আধিকারিকরা। শেষ মূহুর্তে নিয়ম জানালে অসুবিধা হতে পারে বলেও অনেকের মত। আলোচানা শেষে জেলা শিক্ষা প্রশাসনের এক উচ্চ আধিকারিক বলেন, ” এখনও এসএসসি এ ব্যাপারে কিছু না জানানোয় একটু চিন্তা আছে। কারণ বাতিল শিক্ষকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে বাদ দেওয়া না চিনলে মুশকিল। সেই চিহ্নিত করণের কাজটা স্পষ্ট নয়।”
একইসঙ্গে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা না থাকায়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের একজন পরীক্ষার্থীর শরীর ছুঁয়ে তল্লাশি করায় বলায় আপত্তি তুলেছেন তাঁদের একাংশ। সব মিলিয়ে ‘পরীক্ষার পরিকল্পনা এলোমেলো ঠেকছে’ পরীক্ষার কাজকর্মে যুক্ত একাংশের। রবিবার কীভাবে সেই স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বিতর্কহীন উতরোনো যায় সেদিকেই তাকিয়ে জেলা প্রশাসনও।