
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লক্ষ্য এক রেখে হুমায়ুনের ফের বিষোদগার সালারে ।আগের সবকিছুকে এবার ছাপিয়ে গেলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বুধবার ভরতপুরে তৃণমূলের এসআইআর সংক্রান্ত ওয়ার রুম উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই ওয়ার মুডে ফেরেন হুমায়ুন। ওয়ার রুম উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের জেলা নেতাদের উদ্দেশ্যে এবার চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন হুমায়ুন। তিনি ফের প্রশ্ন তোলেন “কোন যোগ্যতায় জেলা নেতারা দল চালানোর সুযোগ পান।” এবারও লক্ষ্য পুলিশের একাংশ।
বিজয়া সম্মিলনীতে দলের জেলা সভাপতি সহ একাধিক শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকে আক্রমণ করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিতর্কের কেন্দ্রে ফিরেছিলেন হুমায়ুন। তার রেশ মাঝখানে একটু কমলেও তা যে হুমায়ুনের ভেতরে তুষের আগুনের মতো জ্বলছিল তা বোঝা গেল বৃহস্পতিবার।
এসআইআর প্রসঙ্গ তুলে হুমায়ুন বলেন, ” আতঙ্ক ছড়িয়ে মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্যের মানুষকে হয়রান করবে তার জন্য নয় রাজনীতি করি না। মানুষের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য আমরা রাজনীতি করি।” তারপরেই তিনি বলেন, ” এখানে অনেক তাবড় তাবড় নেতা হয়েছেন। নিজেদের স্বার্থকে কায়েম করার জন্য যাঁরা নেতা সাজছেন তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি আগুন নিয়ে খেলবেন না। আপনাদের গতিবিধি আমরা নজর রাখছি। আমাদের গতিবিধি নজর রাখছে রাজ্য। রাজ্যের যেমন আমাদের শাসন করার অধিকার রয়েছে, এখানে বেশি বেচাল করলে তোমার চুলের মুঠি ধরে সোজা করার অধিকার আমাদেরও রয়েছে।”
২০২৩ সালে পঞ্চায়েতে দলে তাঁর মতো বিধায়কদের অপমান হতে হয়েছিল জানিয়ে হুমায়ুন দাবি করেন, ” টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হয়েছিল। সালারের ওসি, ভরতপুরের ওসিকে ব্যবহার করে গণনাকেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা নির্বাচিত হয়েছিল। সেই সব প্রধানদের সঙ্গে আজ দলের কোনও যোগাযোগ নেই। তারা লুঠ করতে ব্যস্ত। তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি। আগামীদিনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে প্রশাসন যে যেমন করবে তার বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেবে।”
জেলা সভাপতি অপূর্বর নাম উহ্য করে বলেন, ” কান্দি বালাদেরও লুট করে খেতে দেব না।” তিনি আরও বলেন, ” কান্দি বালাদের পৌরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি, গোকর্ণ পার্ক, বহরমপুর পৌরসভায় নেতাগিরি করবো আর ভোটের বেলায় তিন নম্বরে থাকবো। আর আমাদের নেতা হবে।” দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্য বলেন, ” দল চাইলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আগামীদিনে মুর্শিদাবাদের জেহাদ মুর্শিদাবাদের রাজনীতি কি রং পাল্টাব দেখে নেবেন। আমরা নেতৃত্বকে সম্মান দিয়ে অপেক্ষা করছি। আমাদের লেজে পা দেবেন না।”
এমনকি এদিন তাঁর মুখে শোনা গেল বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার জামিন পাওয়ার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ” জীবনের গ্রেফতারির পদ্ধতিই ভুল ছিল। গতকাল জামিন পেয়ে যেতে। আজ ছুটি। আগামীদিনে শুনবেন জীবন জামিন পেয়েছে।”
ভরতপুরের উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” কোনো চিন্তা নেই। বিলএ-রা সঠিকভাবে কাজ করছেন কিনা তা তদারকি করার জন্য ১৫ জনের একটা অফিস খুলে দেওয়া হল। তারা নজর রাখবে ব্লকের ঠিক করা বিএলএ-রা ঘরে বসে কাজ করছে কি না।” তিনি আরও বলেন, ” বিজেপি’র সঙ্গে আমাদেরও কতিপয় মানুষ বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে।”