
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আজ বিকেল চারটের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা ভার্চুয়াল বৈঠক। সেই বৈঠকে রাজ্যের ১৮৯ জন বিধায়কের সঙ্গে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ” ক্যামাক স্ট্রিটের এবি অফিস থেকে আমার কাছে গতকাল বিকেলে একটা লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে। আমি আজ বিকেলের ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবো।”
দলের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে ভরতপুরের বিধায়ক তোপ দেগেছিলেন বহরমপুর সংগঠনের তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে। অপূর্ব নিজে কৌশলে জবাব দিলেও যাঁদের জড়িয়ে হুমায়ুন অপূর্বকে বেলাগাম আক্রমণ করিয়েছেন, তাঁরা একে একে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জবাব দিয়েছেন পাল্টা। কান্দির তৃণমূল শহর সভাপতি দেবল দাস থেকে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নিলীমেষ বিশ্বাস সকলেই একসুরে হুমায়ুনের দাবির বিরোধীতা করে অপূর্বর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
রাজ্য নেতাদের কাছে নানান কৌশলে ও পন্থায় তৃণমূলের বহরমপুর সংগঠনের নেতাদের একাংশ কখনও লিখিতভাবে কখনও মৌখিকভাবে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আপাতত মুখ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হুমায়ুনও এদিন বলেন, ” আমাকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কিছু বলে নি।” পাল্টা বলেন, ” শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কি শুধু আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আছে? আমার অভিযোগের সত্যতা নেই? যে অভিযোগ করেছি তাও শৃঙ্খলাভঙ্গের মধ্যেই পড়ে।”
দলের মুর্শিদাবাদ জেলার দুই প্রবীণ বিধায়ক অপূর্ব আর হুমায়ুন। দুজনের কেউই স্রোতে ভেসে বিধায়ক হননি। সেই তাঁরাই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন ক্রমাগত। নির্বাচনের আগে ঘরের মধ্যে এমন ঝড়ের দাপটে থমথমে তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের কার্যালয়। নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের এমন আকছাআকছিতে মন ভাঙছে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের, দাবি দলেরই একাংশের। শাসকদলের জেলা কার্যালয় এমন শুনশান হয়ে যাওয়ায় “একতা” নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অশোক দাস যাঁকে কার্যালয়ে গেলেই দেখা যেত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় এদিন তিনি বলেন, ” শুনশান কোথায় পেলেন? যাঁদের যা প্রয়োজন তাঁরা আসছেন, যাচ্ছেন। সময়ে এসে দেখে যান। আসলে নির্বাচনের ঘন্টা বেজে গিয়েছে, কমীরা নির্বাচনী কেন্দ্রে আছেন। তাঁরাও আসছেন। আপনারা যেটা দেখছেন সেটা ঠিক নয়।”