
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভরতপুর এক নম্বর ব্লকে শারদোৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত বস্ত্রবিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের সদ্য প্রাক্তন ব্লক নেতৃত্বকে আক্রমণ করলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুধু ব্লক নেতৃত্ব নয় চতুর্থীর সন্ধ্যায় ওই ব্লকের বিডিওকেও নিশানা করলেন তিনি। তুলে ধরলেন তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা। তাঁর এদিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের একাংশ কর্মী হুমায়ুনের পক্ষ নিয়ে বলেন ” উনি ঠিকই বলেছেন। দলে শুধু গোষ্ঠী আর গোষ্ঠী। ভাল কাজ করার কোনও পুরস্কার নেই।”
তাঁর বিধায়ক এলাকার দুটি ব্লক সভাপতিই তাঁর বিরুদ্ধে। আর তাদেরকে উস্কানি দেন জেলা নেতারা। ওদের না সরালে হুমায়ুন দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। ছাব্বিশের নির্বাচনে তাঁর ক্ষমতা দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব তো বটেই, রাজ্য নেতাদেরকেও। একটা একটা করে তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বেনোজলে ভেসে আসা কোনও রাজনীতিক নন, তিনি হুমায়ুন কবীর।
মাস দুয়েক আগে ভরতপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা এনেছিলেন সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজান। সেই পঞ্চায়েত সমিতি আজও তৈরি হয়নি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে হুমায়ুন বলেন, ” সেই ঘটনায় দলের মুখ পুড়েছে। আর তা হয়েছিল ব্লক ও জেলা নেতাদের যৌথ সিদ্ধান্তে।” তিনি বলেন, ” কালী পুজোর ভাইফোটার পরে পঞ্চায়েত সমিতি তৈরি হবে।” তিনি আরও বলেন, ” সব জায়গায় গেলেও ভরতপুরে ঘৃণায় আসি না।”
পঞ্চায়েতের মধ্যে বিডিও-র সামনে পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী ও বিরোধী উপপ্রধানের মধ্যে মারামারি হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন হুমায়ুন বলেন, ” পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী কেন চেয়ারে? দলনেতা বলে দেওয়ার পরেও কেন স্বামী চেয়ারে বসেছেন। বিডিও কী করছিলেন? মাারামারি হবে কেন? বিডিও ন্যাকামি করছে! পঞ্চায়েতের মালিক তো বিডিও। এরপরেই হুমায়ুনে বলেন, ” কেন মারামারি হবে পঞ্চায়েতে? কিসের স্বার্থে, কোন ভাগ কম পেয়েছ ? কোন ভাগ বেশি পেয়েছ। মানুষের তো জানার অধিকার আছে। ভরতপুরের মানুষকে জানাতে হবে।” এখানেই না থেমে হুমায়ুন বলেন, ” বিডিওকেও আমি বলব আপনি বিডিও-র চেয়ারে বসে পক্ষপাত করবেন না। বিডিও-র ফুলফর্ম ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।
দিন কয়েক আগে তৃণমূল বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় ব্লক ও শহরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় নেই ভরতপুরের নাম। তেমনি ওই বিধানসভার দুই ব্লক নেতাদের জেলা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই হুমায়ুন ঘনিষ্ঠরা কৃতিত্ব দিচ্ছেন বিধায়ককেই। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, উৎসব মিটে গেলে শূন্যস্থান পূরণ হবে। এদিন ভরতপুরের দুই জন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সুমন ও টারজানকে কটাক্ষ করে বলেন ” প্রমোশন পেয়েও কেঁদে বেড়াচ্ছে।”