
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হয়েছিল এক চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছিল ৪ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মোস্তাকিন সর্দার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় ধৃত ব্যক্তিকে শুক্রবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেন বারুইপুরের পকসো আদালতের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
যদিও এত সহজ ছিল না বিষয়টি। সেই সময় আরজিকর কাণ্ডের জেরে উত্তাল বাংলা। তারমধ্যেই এই ঘটনা আগুনে ঘি ঢালে। অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে নিহত নাবালিকাকে সাইকেল করে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে তাকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করা সত্ত্বেও পুলিশ শিশুটিকে খুঁজতে তৎপরতা দেখায়নি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ৫ অক্টোবর উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ জনতার খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা।
পরে অবশ্য ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তের জন্য সিট গঠন করে রাজ্য। তাতেও ছিল গলদ। খুনের মামলা দায়ের হলেও বাদ দেওয়া হয়েছিল পকসো ধারা। পরে আদালতে তীব্র সমালোচনার পর পকসো আইনের ছয় নম্বর ধারা যুক্ত করে পুলিশ। দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩০ অক্টোবর চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। নাবালিকার শরীরে ৩৮টি আঘাত ছিল বলে শুনানি পর্বে আদালতকে সরকারি আইনজীবী জানান। তিনি ধৃতের ফাঁসির আবেদন জানান। সেই আবেদন মেনে ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সহ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ৬ ডিসেম্বর আসামীকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এত দ্রুত মামলা শেষ করে সাজা ঘোষণার পর রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যাণ্ডেলে মমতা লিখলেন, ” রাজ্যের ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন
বিচার প্রক্রিয়া এরকম দ্রুতই হওয়া উচিৎ। বিচারবিভাগকে ধন্যবাদ।