মাহে আলমকে অক্সিজেন জুগিয়ে গেলেন কাজল

Social Share

ঠান্ডা জমিয়ে পড়বার আগেই বড়ঞায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

খড়গ্রাম ও বড়ঞায় চা চক্রে কাজল শেখ

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কুয়াশা সরিয়ে পরিস্কার হচ্ছে বড়ঞার ভোট যুদ্ধ। ডাকবাংলোয় শুভেন্দু অধিকারীর পরিবর্তনের সংকল্প যাত্রার জনসভা থেকে তাঁকে বেপরোয়া আক্রমণ করেছেন সদ্য তৃনমূল ত্যাগী মহম্মদ জালালউদ্দিন ওরফে আফাজ । সেই তৃণমূল নেতা মাহে আলমকে রবিবার পেপ টক দিয়ে গেলেন প্রতিবেশী কাজল শেখ। মাহে আলম অবশ্য বলেন, ” এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। উনি জঙ্গীপুরে এসেছিলেন। যাওয়ার পথে আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেলেন।”

বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখের সঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। সে কথা ভূ-ভারত জানে। বড়ঞা বিধানসভার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে অভিযুক্ত। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংগঠন থাকা সত্বেও অনুব্রতের কাঁধে ছিল বড়ঞার ভার। তা ছিল দলনেত্রীর নির্দেশেই। দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের সংস্থা ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে দলের বহরমপুর সংগঠনের সভাপতি অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জীবন। মাহে আলম অপূর্ব গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত জেলায়।

বড়ঞায় বিজেপি’র শক্তি ও বিধায়ক জেলবন্দি থাকায় তৃণমূল সিঁদুরে মেঘ দেখছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া শুভেন্দুর জনসভায় মহম্মদ জালালউদ্দিনের ক্ষোভ। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বকে রবিবার সন্ধ্যায় তাই রাজনৈতিক ‘বুদ্ধি’ দিতে এসেছিলেন কাজল। তার আগে খড়গ্রামেও চা চক্রে অংশ নিয়েছিলেন কাজল। সেখানে জেলা পরিষদের সদস্য শাশ্বত মুখোপাধ্যায়কেও দেখা যায়।

মাহে বলেন, ” আমাদের মধ্যে ১৪-১৫ বছরের সম্পর্ক। মুর্শিদাবাদে আসলে কাজল দা এক কাপ চা খেয়ে যান আমাদের এখানে এসে। রাজনৈতিক কথাবার্তাও হয়। এবারও হয়েছে।” কী কথা? তিনি জানান, “কীভাবে দলকে মজবুত করা যাবে সে সব নিয়ে কথা হয়েছে।” এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বড়ঞার প্রাক্তন বিধায়ক প্রতিমা রজকও।

বড়ঞায় মাহে আলম গোষ্ঠী তাঁকে জীবনের পরিবর্তে নির্বাচনে দাঁড় করাতে ইচ্ছুক। তাই নির্বাচনের মুখে ফের তাঁকে ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে দেখা যাচ্ছে বলে পাল্টা খোঁচাও দিচ্ছেন জীবন শিবির। মাহে অবশ্য বলেন, ” কে নির্বাচনে দাঁড়াবে আর না দাঁড়াবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আমার কাঁধে নেই। যাঁকে দল প্রার্থী করবে তার হয়েই আমরা লড়াই করবো।” জীবন যদি জেলে থেকে লড়াই করেন তাহলে? তিনি বলেন, ” বললাম যে, যাঁকেই প্রার্থী করা হবে তার হয়েই আমরা দলবদ্ধভাবে কাজ করবো।”

তবে আফাজের দাবির পাল্টা দাবি না করে তিনি বলেন, ” যা বলার ২৫ তারিখের সভায় বলবো ।” আগামীকাল ডাকবাংলোয় বিজেপি’র পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। শ্রমিক নেতা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনে শুভেন্দুকে কাউন্টার করার মঞ্চ বাঁধার মধ্যেই বড়ঞায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights