সংবাদ প্রতিনিধি, নদিয়াঃ আজ দ্বিতীয় দিন রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কর্মসূচি। একটু পরেই নরেন্দ্র মোদি আজ কৃষ্ণনগরে দুটি সভা করবেন। প্রথমে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে সরকারি সভা ও পরে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন মোদি। এই কৃষ্ণনগর লোকসভাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আজ এখান থেকে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা দেন কি না তার দিকে তাকিয়ে বাংলা। দলীয় সভা শেষ করে বিহারের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর উড়ান। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম ও কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের মাঠ। সকাল থেকেই সেই সভাকে ঘিরে রয়েছে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা। সেই সভায় যোগ দিতে বহরমপুর থেকে ট্রেন ধরেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা কর্মীরা।
এই কৃষ্ণনগর কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করা’র অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরে লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রস্তাবে তাঁকে সাংসদ থেকে বহিস্কার করা হয়। যদিও তাঁর নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে কোনও বাধার শর্ত আরোপ না করায় সেই লোকসভা কেন্দ্রেই এবারও তৃণমূল পদপ্রার্থী মহুয়া। কিন্তু ২০১৯ সালের মতো ২০২৪এর নির্বাচনে এই আসন থেকে জয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে সন্দিহান তৃণমূলের জেলা নেতারাই। স্বাভাবিকভাবেই সেই চোরা পথে ঢুকতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP).

২০০৯ থেকে এই আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। ২০০৯ থেকে পরপর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল। ২০১৪ সালে জেতার পর তাপস পাল একাধিকবার বিতর্কের কেন্দ্রতে চলে আসায় করিমপুরের বিধায়ক মহুয়াকে বেছে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জিতে মান রেখেছিলেন দলনেত্রীর। সেই মহুয়াই তাঁর পাঁচ বছরের সাংসদ কোটা পূরণ হওয়ার আগেই ঘুষ নিয়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খুইয়েছেন। এর আগে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল কৃষ্ণনগর। ১৯৯৯ সালে বিজেপির সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (জুলু বাবু) জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরে। ২০০৪ সালে বামেরা এই আসনটি ছিনিয়ে নিলেও তা আর ধরে রাখতে পারেনি। নানান ঘটনা পরম্পরায় স্বাভাবিকভাবেই এই কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে দেশ।