
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চারদিকে দীপাবলির রোশনাই। পথে ঘাটে বাহারি আলোয় যেন আঁধার দূর করার সংকল্প। সেই সংকল্প ছুঁয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের একাংশকে। তাঁদের ঘরে দাবি উঠছে “যাক অবসাদ বিষাদ কালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো”। সামনেই দু’হাজার ছাব্বিশের নির্বাচন। সেই নির্বাচনের সামনে ফের আলোচনায় ফিরেছে কংগ্রেস। তৃণমূলের স্রোতে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়েও যাঁরা কংগ্রেসের পতাকা ছাড়েননি, এবার বিদ্রোহ সেখানেই। ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন শাসক দলের নেতাদের একটা বড় অংশ।
রাজ্য সভাপতি হিসেবে শুভঙ্কর সরকারকে দায়িত্ব দিলেও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতাদের নির্দেশেই তাঁর মুর্শিদাবাদে আসা মানা। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব অধীর চৌধুরীরই। আর সেই হিসেবেই এবার কালির দাগ ফেলছে কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেড। অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অধীর বিরোধী শ্লোগান। আর সেই শ্লোগানে সঙ্গ দিয়েছে তৃণমূলের একাংশ বিক্ষুব্ধ নেতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে আবু হেনার মৃত্যুর পর থেকেই তুষের আগুন জ্বলছে। কালীপুজোর আগে যা গতি পেয়েছে। সূত্রের দাবি, ” বড়জোর ডিসেম্বর, তারমধ্যেই গুমোট কেটে নতুন আলো আসবে।”
যদিও বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার লোক নেই বলেও কংগ্রেসের একটা বড় অংশের দাবি। শোনা গেল, কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন মুর্শিদাবাদের একসময়ের অধীর ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা। কিন্তু তাঁদের দাবি, ” শুভঙ্কর সরকারকে সবকিছু জানানোর পরেও তিনি সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাতে অপারগ। তা না হলে মুর্শিদাবাদে ফের কংগ্রেস স্বমহিমায় এবারই ফিরতে পারতো।” আশা অবশ্য তাঁরা ছাড়ছেন না। কাল সান্টাফোকিয়ার এবারের কালীপুজোর উদ্বোধন মঞ্চে যাচ্ছেন না বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁদের মন কষাকষি চলছে বলেই তাঁরা এই পুজো বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাল্টা অধীর শিবির অবশ্য এই ধরনের “কাল্পনিক” কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না।