
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মৃত্যু হল সাত জন অগ্নিদগ্ধ নির্মান শ্রমিকের মধ্যে একজনের। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম জাহেদ আলির (৩৫)। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি হরিহরপাড়ার খিদির পুর এলাকায় চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে ঘরেই অগ্নিদগ্ধ হন জাহিদ সহ মুর্শিদাবাদের আরও ছয় জন শ্রমিক। আগুনে পুড়ে শরীরের ৭৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল জাহেদের। বাকিদের অবস্থাও সংকটজনক। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরা।
পড়ুন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করেঃ বেঙ্গালুরুতে অগ্নিদগ্ধ মুর্শিদাবাদের সাত শ্রমিক
চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে ঘরেই অগ্নি দগ্ধ হন মিনারুল সেখ, জিয়াবুর সেখ, তাজিবুল সেখ, হাসান মল্লিক, নুর জামাল সেখ, সফিজুল সেখ ও জাহিদুল আলি। জাহেদ হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। বাকিরা বহরমপুরের বাসিন্দা। এদের কারও শরীর ৩০ শতাংশ কারও শরীর ৬০ শতাংশ কারও বা শরীরের ৭৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
ঘটনার দিন থেকেই তাঁদের পাশে আছেন সিটু অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। বেঙ্গালুরুর সিটু নেতৃত্বের সঙ্গে হাসপাতালে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য ও মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য আবদুর জাব্বার ও সংগঠনের নেতা সুমন দাস মহাপাত্র। বৃহস্পতিবারেও সিটু নেতৃত্ব হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল সুপার সহ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। মৃত্যু দূর্ভাগ্যের জানিয়ে সংগঠনের নেতা সুমন মহাপাত্র এদিন বলেন-“ চিকিৎসকদের সঙ্গে কাল দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। তাঁরাও বলেন আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যদিও চিকিৎসকরা বলেছিলেন তাঁরা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন।”
বেঙ্গালুরুর নির্মাণ সংস্থা সানসাইন সিগনেচার ডেভলপার কোম্পানিতে কাজ করতেন আহতরা। তাঁরা থাকতেন বিদ্রীর মাইসোর লেবার কলোনী এলাকায়। সোমবার নতুন গ্যাস সিলিন্ডার লাগিয়ে রান্না করার পর খাওয়া দাওয়া সেরে নেন তাঁরা। পরে দরজা জানালা লাগিয়ে শুয়ে পড়েন। মাঝরাতে তাঁদের একজন গ্যাস লাইটার জ্বালালে এই অগ্নিকান্ড ঘটে যায় বলে দাবি সূত্রের। যদিও ঠিক কীভাবে অগ্নিদগ্ধ হলেন নির্মান শ্রমিকরা তার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই বলে দাবি উঠছে একাধিক মহলে। বৃহস্পতিবার আহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃনমূলের বহরমপুর যুব সংগঠনের নেতা ভীষ্মদেব কর্মকার। দলের পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সরকারি দলের নেতা পরিবারকে আশ্বাস দিলেও হাসপাতালে উপস্থিত মৃতের সহকর্মীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন সরকারের প্রতি বিশ্বাস নেই তাঁদের।