সংবাদ প্রতিনিধি, হুগলীঃ আজ শুক্রবার আরামবাগের কালীপুর মাঠে সভা করতে রাজ্যে আসছেন PM Modi. সরকারি সূত্রে জানা যায়, শিলান্যাস, উদ্বোধন মিলিয়ে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের সূচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝাড়গ্রাম-শালঝাগড়ি থার্ড রেল লাইনের উদ্বোধন। বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি সরকারি সভা করবেন। রেল ও ইন্ডিয়ান অয়েলের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন সেখানকারই দলীয় সভায়।
একইদিনে প্রধানমন্ত্রীর জোড়া সফরে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহলী নজর রয়েছে গোটা দেশের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, সরকারি কর্মসূচি সঙ্গী করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি। আরামবাগবাসীর পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের কাছে “মোদি সরকারের গ্যারান্টি”-র বার্তা দিয়ে কৌশলে গেরুয়া শিবিরের প্রচার করতেই যে তার রাজ্য সফরের সূচনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাতটি বিধানসভা ঘেরা আরামবাগ লোকসভা একসময় বামেদের ঘাঁটি ছিল। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই আসন ছিল বামেদের দখলে। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন সিপিএমের “দুর্মূখ” নেতা অনিল বসু। যদিও ২০১৮ সালে তাঁর মৃত্যুর আগে থেকেই তাঁর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। ২০১৪ সালে রাজ্যের পালাবদলের হাওয়ায় এই লালদূর্গও উল্টে যায়। সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। এখনও তিনিই ওই কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ। যদিও শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র তপন কুমার রায় পিছিয়ে ছিলেন মাত্র ০.৭ শতাংশ ভোটে।
রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৫টিতে পদ্ম ফোটানোর ‘সংকল্প’ নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। আর তাই ভোট প্রচারের রুট তৈরি হচ্ছে এই আরামবাগ লোকসভাকে সামনে রেখেই। দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করা সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব টুকটাক মন্তব্য করেছেন। রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করেছেন। দলীয় পতাকা হাতে কিন্তু তাদের গত দু’মাসে ঘটনাস্থলে আসতে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষজন। যা সামলেছেন তা রাজ্যের নেতারাই। সেদিক থেকেও আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্গে এসে কী বলবেন সেদিকে নজর রয়েছে দেশবাসীরও।