
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ: মুর্শিদাবাদে আন্তঃস্কুল ৬৪ তম সুব্রত কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শেষ হল রবিবার। বয়স ভিত্তিক মূলত তিনটি গ্রুপ্রে এই খেলা হয়। অনূর্ধ ১৫, অনূর্ধ ১৬ এবং অনূর্ধ ১৭। মহকুমা স্তর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল জুন মাসে। এদিন শেষ হল জেলা পর্যায়ের খেলা।
বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ও বহরমপুর স্টেডিয়াম নিয়ে মোট তিনটি মাঠে সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল খেলা হয়। ব্যারাক স্কোয়ারে ২-১ গোলে মধুপুর রাজা শশাঙ্ক বিদ্যাপীঠকে হারিয়ে জেলাস্তরে অনূর্ধ ১৫ মুর্শিদাবাদ জেলা চাম্পিয়ন হয়েছে আজিমগঞ্জ ডন বস্কো। সেমি ফাইনালে নবিপুর সরলাবালা হাইস্কুলকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল ডন বস্কো। আর বন্যেশ্বর বিসি হাইস্কুলকে সেমি ফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিল মধুপুর রাজাশশাঙ্ক বিদ্যাপীঠ। ডন বস্কোর ছেলেদের খেলা এদিন মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
বহরমপুর স্টেডিয়ামে খেলা হয় অনূর্ধ ১৭ ছেলেদের। ওই মাঠে আজিমগঞ্জ ডন বস্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে চাম্পিয়ন হয়েছে জোতকমল হাইস্কুল। সেমিফাইনালে মধুপুর রাজা শশাঙ্ক বিদ্যাপীঠের ছেলেদের হারিয়ে ফাইনাল খেলতে নেমেছিল জোতকমল। আর ভালুপাড়া হাইস্কুলকে হারিয়ে ফাইনাল খেলে আজিমগঞ্জ।
ব্যারাক স্কোয়ারের আর একটি মাঠে রামনগর হাইস্কুলের অনূর্ধ ১৭ মেয়েরা আজিমগঞ্জ ডন বস্কোর মেয়েদের ২-১ গোলে হারিয়ে চাম্পিয়ন হয়েছে। এই বিভাগে প্রথম সেমিফাইনাল খেলে রামনগর হাইস্কুল বনাম বাঙ্গাবাড়ী হাইস্কুল। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলে ইন্দ্রানী হাসনানি হাইস্কুল বনাম আজিমগঞ্জ ডনবস্কো হাইস্কুল।
জেলা পর্যায়ের বিজয়ীরা এর পরে ক্লাস্টার পর্যায়ে খেলবে। সেই খেলায় যারা জিতবে তারা পরে রাজ্য স্তরে খেলবে। জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ আয়োজিত জেলাস্তরের এই খেলায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সফিউজ্জামান শেখ সহ অন্যরা। রাজ্যস্তরের এই খেলার আয়োজন করে রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ। এদিন বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন আয়োজক সংস্থার কর্তারা। মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাবির বলেন, ” চলতি বছর জেলার ২৯০ টি স্কুল অংশ গ্রহণ করেছিল।”
তবে স্কুল পড়ুয়াদের এই খেলায় উৎসাহ থাকলেও এই ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রচার কম হওয়ায় দর্শক সংখ্যা কম হয় বলে দাবি অনেকের। এমনকি শহরের স্কুলের পড়ুয়ারাও এই খেলা দেখতে মাঠে আসে না। যা ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া শৈশবের এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলাকে নিরুৎসাহিত করবে বলেই মত অভিজ্ঞদের। পড়াশোনার জন্য শহরের পড়ুয়ারা মাঠ এড়িয়ে যায় বলে মনে করেন সাবির। আর স্কুলের খেলার শিক্ষক ছাড়াও স্কুলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এই খেলার প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, ” আলাদা করে প্রচারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। তাই ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচার করা যায় না।”