তারানগরে পা দিয়ে আলী বুঝলেন মাটি আলগা হয়েছে

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুজোর মুখে ভাঙনের কবলে লালগোলার তারানগর। দিন দুয়েক আগে পদ্মা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে একের পর এক ১৭টি বাড়ি। আশ্রয় হারিয়ে চারদিকে শুধু হা হা কার। গত বছর থেকে পদ্মা ফুঁসছে। সে বার পদ্মা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। সতর্কবার্তা ছিল। কিন্তু প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তখন ঘুম ভাঙেনি। ভাঙন রোধে কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শুধু ফোন চালাচালি হয়েছে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এমন দাবিতে পাল্টা ফুঁসছে পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দারা। আজ তা টের পেলেন লালগোলার বিধায়ক মহ.আলী।

বিধায়ক সহ ভাঙন দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাংসদ খলিলুর রহমান। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই বিক্ষুব্ধ ছিলেন দুর্গতরা। কোথায় ত্রাণ শিবির, কোথায় ত্রাণ, কোথায় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের নীল নক্সা? কোথায় থাকেন জনপ্রতিনিধিরা? কোথায় থাকেন প্রশাসনের কর্তারা। শুধু তৃণমূল নয়, পঞ্চায়েত সমিতি হাতে থাকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও সময়ে খোঁজ নেয় না বলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। দাবি ওঠে পুনর্বাসনের। একই দাবিতে সরব হন রঘুনাথগঞ্জ দু নম্বর ব্লকের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ভাঙন দুর্গতরাও। সেখানেও গিয়েছিলেন সাংসদ ও মন্ত্রী।

মন্ত্রী আখরুজ্জামান অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পিছপা হননি। তিনি বলেন, ” নদী ভাঙন তো আমাদের হাতে নেই। কে বলতে পারে কখন পার ভাঙবে? আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দুর্গতদের পাশে আছি। কীভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সেই রাস্তাও আমরা খুঁজছি।” একটাও পরিবার যাতে অসহায় না হয়ে পরে তার জন্য তৃণমূল সরকার মানবিক হবে বলেই দাবি করেন মন্ত্রী।

মহ. আলী অবশ্য এদিন দুর্গতদের কিছু বলতে পারেননি। আক্ষরিক অর্থে তাঁর কোনও প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব দিতে চাননি গৃহহারারা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনিও তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights