সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া মনোভাবের ফলে জেলায় জেলায় ফের সক্রিয় হয়েছে টাস্ক ফোর্স। কলকাতার যদুবাবুর বাজারই হোক কিংবা ঘাটালের আনাজ বাজার সর্বত্র বাজারে ঘুরছেন জেলার বিভিন্ন দফতরের সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকরদের নিয়ে তৈরি একটি দল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আধিকারিকদের দাবি, আনাজের দামে হেরফের হলেও আলু, পেঁয়াজের দাম কিছুতেই কমছে না। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তত্ব। এক,অন্য বছরের তুলনায় আনাজের উৎপাদন কম আর দুই যানবাহন খরচ। স্বাভাবিকভাবেই আনাজের দাম কমানোর মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারিতেও তা জলদি কমার লক্ষ্যণ নেই বলছেন প্রায় সব পক্ষই।
ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “আগের থেকে আনাজের দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু ফলন ও নেই অনেক আনাজের। সেক্ষেত্রে দাম খুব কমানো তাদের পক্ষেও মুশকিল হচ্ছে। তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম একটু কমলে বাজারে অন্য আনাজের দাম আরও একটু কমতে পারে বলে মনে হয়েছে।”
মধ্য কলকাতার নিউমার্কেটে আলুর দাম ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে ছিল সোমবার। ওইদিন সেখানে লঙ্কার দাম ৮০ টাকা। এই দাম রাজ্যের অন্য জেলাতেও প্রায় একই। টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে প্রায় প্রতিটি জেলায়। চাষিদের স্পষ্ট দাবি, সারের দাম, বিদ্যুতের দাম, বীজের দামও চড়া। সেগুলো কমলে আনাজের দামও কমবেে বলে দাবি তাঁদের।
সোমবার বহরমপুরের গোরাবাজার, পঞ্চাননতলা, চুনাখালি বাজারে হানা দিয়েছিলেন টাস্কফোর্সের আধিকারিকরা। সেখানেও তাঁরা ফড়েদের খোঁজ পাননি। তবে বাজারগুলিতে যাঁরা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছিলেন তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন বিক্রেতা, ক্রেতাকে অতিরিক্ত দাম ফেরতও দিয়েছেন বলে জানালেন বহরমপুরের মহকুমাশাসক শুভঙ্কর রায়। তাঁরা খুচরো বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজারেও খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আবার মালদহের চাঁচলে টানা বৃষ্টির জেরে আনাজের দাম বেড়েছে। সেখানকার চাষি রবিউল আলম, সাজু শেখদের দাবি, ” এই বৃষ্টি পাট ও ধানের উপকার করলেও ঢেঁড়শ, পটল পচে যাচ্ছে। একগাদা টাকা দিয়ে বীজ কিনে, সার কিনে চাষ করলাম। সবই জলে চলে গেল।” তবে সেখানেও টাস্ক ফোর্সের নজরদারি শুরু হবে বলে জানান জেলা আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেলেন সরকারি কর্মীরা