
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে তৃণমূল ব্যানার পোস্টারে ভরিয়ে দিয়েছিলেন শহর বহরমপুর। আকাশ দেখতে এখনও সেই সব সরাতে হচ্ছে বলে কটাক্ষ উড়ছে ব্যারাক স্কোয়ার থেকে স্টেডিয়াম, চায়ের দোকান থেকে সরকারি দফতরেও। আর এসব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের শিক্ষক নেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপণ। ‘দিদি’ কে স্বাগত জানাতে তৃণমূলের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ সংগঠনের নেতারা বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে একটি ব্যানার লাগিয়েছিলেন। যার আড়ালে আজও সুভাষের আবক্ষ মূর্তি।
বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজের তেমাথার মোড় রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সভাস্থল হিসেবে জনপ্রিয়। সেখানে সুভাষ মূর্তির জন্য ঘেরা এলাকার একদিকে বাতিস্তম্ভ অন্যদিকে একটি বাঁশ বেঁধে ওই ব্যানার লাগানো হয়েছে। আদালতের রায়ে প্রাথমিক স্কুলের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকায় সেই ‘দিদি’কেই ধন্যবাদ জানাতে ওই মনীষীর পাদদেশে টাঙানো হয়েছে আরও একটি ব্যানার।
চলতি মাসের চার তারিখ মুখ্যমন্ত্রী জেলায় সভা করে যাওয়ার পর সাতদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই ব্যানার সরেনি। গোষ্ঠীদ্বন্দে জীর্ণ তৃণমূলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা কটাক্ষ করে বলেন, “ওই ব্যানার ঘেরা জায়গার নিচে বা পাশে টাঙালে কোনও অসুবিধা হতো না। কিন্তু দিদির নজরে পড়তে শিক্ষকরা খেয়ালই করলেন না মনীষীর মূর্তি।”
শহর তৃণমূলের এক কর্মী বলেন,” দিদির নজরে পড়তে ধুলো ঝেড়ে সব পরিস্কার করে নীল-সাদার প্রলেপ দিয়েছিল পুরসভা। সেটাও আড়ালে ঠেলে দিল এই একটি ব্যানার।” বহরমপুরেরর প্রবীণ নাগরিক অমলাংশু বিশ্বাস বলেন, “এই মূর্তির চারপাশে হোর্ডিং টাঙানো কিংবা ব্যানার লাগানো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এগুলো শিক্ষার অভাবকেই প্রকট করে। এখানেও দেখানোর চেষ্টা তুই বড় না মুই বড়।”
বিষয়টি যে ঠিক হয়নি তা স্বীকার করে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁরাও হয়তো খেলায় করেন নি। আমরা খুব তাড়াতাড়িই ওই ব্যানার খুলে ফেলবো।”