
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নিরিখে ছেলেদের পেছনে ফেলে দিল মেয়েরা। চলতি বছর মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫৬ হাজার ১৯৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে উচ্চমাধ্যমিক। তারমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২২ হাজার ৫০৬জন। ছাত্রীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৯১ জন। ৭৫ টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। সাব ভেন্যু আছে ৫২টি। কাস্টডিয়ান ২৮টি আর স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্র ৮টি। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ পথে থাকছে কড়া নিয়ম। সকাল ন’টায় পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। জেলার সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে, কাউন্সিলের প্রতিনিধি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের উপস্থিতিতে এই সম্পর্কিত একটি বৈঠক ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে বলে জানান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মুর্শিদাবাদ জেলার যুগ্ম আহবায়ক সুদীপ সিংহরায়।
ছকভাঙা উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পর্বের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার সকাল দশটায়। এই প্রথম উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনে উত্তর দেবে ওএমআরসিটে। শুধু বাংলায় নয়, এমসিকিউ ধাঁচে দেশের কোনও স্কুল বোর্ডের পরীক্ষা এই প্রথম। একঘন্টা ১৫ মিনিটের এই পরীক্ষা হবে। ওএমআর-এর ক্ষেত্রে কতকগুলি নিয়ম পরীক্ষার্থীদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সংসদ। ডান দিকের বার কোডে কোনও রকম দাগ দেওয়া যাবে না। নীল অথবা কালো কালিতে ওএমআরের নির্দিষ্ট জায়গাা পূরণ করতে হবে। একটিই ওএমআর শিট দেওয়া হবে। ভাবনাচিন্তা করে উত্তর দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের বারবার সতর্ক করেছেন অভিজ্ঞ শিক্ষকরা।
এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংসদের নিয়মে ৭৫ মিনিটে ৪০ নম্বরের অঙ্ক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সেই সময়ে ক্যালকুলেটার ছাড়া অঙ্কের সমাধান করে উত্তর দেওয়া অসুবিধা হবে বলে মনে করেন পাথফাইন্ডার হায়ার সেকেন্ডারি পাবলিক স্কুলের ছাত্র সুস্মিত রায়চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ” এই ধরনের প্রশ্নের পরীক্ষায় নিট বা জয়েন্টের জন্য সুবিধা হবে। কিন্তু এখন পরীক্ষা প্রস্তুতিতে হাতে সময় পেলেও পরের সিমেস্টারে হাতে সময় পাওয়া যাচ্ছে না।”
গোরাবাজার আইসিআই স্কুলের ছাত্র আর্য ভট্টাচার্য মনে করেন, ” সিলেবাস দুটি পর্বে ভাগ হওয়ায় আমাদের ভার লাঘব হয়েছে। এটা সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটা মহড়া বলা যেতে পারে। তবে দুটি সিমেস্টারে কম সময়ে সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা মানসিক চাপ থাকছেই।” সংসদ মডেল প্রশ্নপত্র আরও বেশি করে ওয়েবসাইটে আপলোড করলে ভাল হতো বলে দাবি তাঁর।
কাল থেকে মহালয়ার পরের দিন পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বরাভয় মিললেও এই পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলেই উৎকন্ঠায়।