
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একটা লম্বা সময়। একটা লম্বা টানাপোড়েন। অবশেষে কোথাও স্বস্তি কোথাও অস্বস্তি মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের আনাচে কানাচে। মহালয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সংগঠনের ২০২৬ এর নির্বাচনের জন্য টিম তৃণমূল ঘোষণা করল রাজ্য নেতৃত্ব। তবে তা অসম্পূর্ণ।
ভরতপুর আর ডোমকল এই দুটি বিধানসভায় ব্লক কিংবা শহরে কাদের হাতে থাকবে তৃণমূলের ভার, কাদেরই বা হাতে থাকবে যুব কিংবা মহিলা কিংবা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ভার সেই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন নি রাজ্যের নেতারা। দুটি বিধানসভার ক্ষেত্রেই পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। দলের ব্লক কিংবা শহর নেতৃত্ব বাছাইয়ে বিধায়কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডোমকলের ক্ষেত্রে ব্লক বা শহরের নেতাদের নাম ঘোষণা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন জেলা নেতারা।
তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা শনিবার সকাল থেকেই ছড়িয়ে ছিল জেলায়। সেই গুঞ্জনে কান দিয়ে মুর্শিদাবাদের দক্ষিণের নওদা আর ভরতপুরের দিকে নজর ছিল তৃণমূল কর্মীদের। কিন্তু তালিকায় দেখা গেল নওদায় ব্লক সভাপতি পদে বদল হয়নি। সফিউজ্জামান শেখ ওরফে হাবিব মাস্টারকেই ফের ওই ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভরতপুর বিধানসভার দুটি ব্লকের ক্ষেত্রে কোনও নাম ঘোষণা হয়নি। পরে ঘোষণা করা হবে হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও ভরতপুর এক নম্বর ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম (টারজান) কে মূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই নম্বর ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের নাম অবশ্য তালিকার কোথাও নেই।
এই বিধানসভার দুটি ব্লকের সভাপতির সঙ্গেই বিবাদ বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। এদেরকে সরানোর দাবিতে অনড় ছিলেন বিধায়ক। সড়ানো না হলে তিনি দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে একজনকে মূল সংগঠনে এনে দল এদিন বিধায়কের পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছে। যদিও বিধায়ক এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ব্যতিক্রমীভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় লালগোলা ব্লক ও বহরমপুর টাউনে মূল সংগঠনে কাউকে একা ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।