বেলডাঙায় শ্রমিকদের সভায় রবিউলের হুমকি, নেপথ্যে কী ও কেন ?

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেলডাঙা রেলবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা একটি সভায় হাজির ছিলেন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। সেই সভায় তাঁর বক্তব্য ভাইরাল হল নেট দুনিয়ায়। নাম না করে ১৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের বক্তব্যে শেষ কয়েক মিনিট কার্যত হুমকি দিলেন এই প্রবীণ নেতা। শেষে বললেন, “একদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি সব বলবেন।” তার আগে অবশ্য বলেছেন এই “রেজিনগরকে কলুষিত করছে একদল অশুভ শক্তি।” আরও বলেছেন ” নির্বাচনের আগে খেলা হবে।” আর এই ধোঁয়াশা কথায় যে যেমন পারছেন যেদিকে খুশি সুতো জুড়ে বক্তব্যের বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। তবে কি ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলকে এক সুরে বাঁধতে গিয়ে সুর হারাল তৃণমূল। প্রশ্ন ঘুরছে মুর্শিদাবাদের পথে প্রান্তরে।

শনিবার বিকেলে তৃণমূল মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লক ও শহরের সভাপতি হিসেবে নব নিযুক্তদের নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই তালিকায় দেখা যায় বেলডাঙা দুই নম্বর ব্লকের পূর্বের সভাপতি হিসেবে পুনরায় মঞ্জুর শেখ ওরফে লেবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই বেঁধেছে গোল। অভিযোগ, এই মঞ্জুর শেখ ২০২৩ সালের রামপাড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের একটি মারামারির ঘটনায় তাঁর নাম ছিল পুলিশের খাতায়। তিনি হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর হয়। সেই ব্যক্তি কী করে দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং রবিউল। তিনি বিষয়টি দলকে জানাবেন বলেও দাবি করেছেন এদিন।

পলাতক অভিযুক্তকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন হুমায়ুন

তবে টুইস্ট যা তা হল, ওই পলাতক নেতা দলীয় পদ পাওয়ায় তাঁকে উত্তরীয় পড়িয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এখনেই অভিজ্ঞদের ধারণা “নাম না করলেও একদল অশুভ শক্তি বলতে হুমায়ুন ও তার দলবলকেই ইঙ্গীত করেছেন তিনি।” এই হুমায়ুনের সঙ্গে রবিউলের সম্পর্ক আদায় কাঁচ কলায়। হুমায়ুন ঘনিষ্ঠ নিয়ামত শেখকে বহরমপুর সংগঠনে চেয়ারম্যান করে ওই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবিউলকে। সেই ঘা শুকোতে না শুকোতেই হুমায়ুন ঘনিষ্ঠকে ফের রবিউলের এলাকায় নেতা হিসেবে বসিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রেজিনগরের বিধায়ক। সে সবের উত্তর অবশ্য দেননি রবিউল। “হিম্মত থাকলে নাম ধরে যা বলার বলুক” দাবি করে পাল্টা প্রশ্ন তুলে হুমায়ুন বলেন, ” গত দু-বছর ধরে সভাপতি আছে লেবু। এতদিন কেন চুপ ছিলেন। পুলিশ সুপারকে কেন বলেন নি? এখন বলছেন কারণ তাঁর পছন্দের লোক তালিকায় ঠাঁই পায়নি। এইসব নীতিকথা এতদিন কোথায় ছিল?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights