বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ Minister? না কি সংগঠনে গুরু দায়িত্ব? কোন শর্তে ভোল বদলালেন মুর্শিদাবাদ জেলার সিনিয়র MLA? সূত্রের দাবি, মন্ত্রীত্বের শর্তেই আপাতত নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ভরতপুরের বিধায়ক।
২০১২ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করে ঘাসফুলে নাম লিখিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এতটাই প্রবল ছিল যে সেবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফের উপনির্বাচনে হাত ছেড়ে জোড়াফুল প্রতীকে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু হেরে যান। সেবারই মাস কয়েকের জন্য লাল বাতি জ্বালিয়ে এলাকায় ঘুরেছিলেন হুমায়ুন উপনির্বাচনের আগে অবধি। সেই শেষ। বিজেপি শিবির ঘুরে এসে পরে জিতলেও আর মন্ত্রীর দরজা ডিঙোতে পারেননি মুর্শিদাবাদের এই বিতর্কিত বিধায়ক।
ফের সেই মন্ত্রীত্বের শর্তে মান ভাঙলো হুমায়ুনের। বহরমপুরে ফিরছেন আগামীকাল। তবে ভরতপুরের বিধায়কের দাবি যে সঙ্গত তা মানছেন দলেরই গরিষ্ঠ অংশ। এক প্রবীণ বিধায়কের যুক্তি,”জেলায় কুড়ি জন বিধায়ক। মন্ত্রী একজন। তাও জঙ্গিপুর সংগঠনের আওতায়। জেলা সভাধিপতি জঙ্গিপুর লোকসভা এলাকার। হজ কমিটিতে আছেন খলিলুর রহমান। সংগঠন ও সরকারের যাবতীয় উচ্চপদে এগিয়ে জঙ্গিপুর। বঞ্চিত বহরমপুর।” ফলে হুমায়ুনের গোঁসা যে শুধু হুমায়ুনের তা কিন্তু নয়, বলছেন দলের একাধিক বিধায়ক, শীর্ষ নেতা।
সেই খবর ছিল কালীঘাটেও। হুমায়ুন কান্ডের পর ফের একবার সেই বার্তা দিদির কানে পৌঁছেছিল। তাই অসুস্থ দিদির বদলে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেককে হাল ধরতে হয়। রফা হয় দুজনের। নির্বাচনের আচরণ বিধি উঠলে সরকারে মন্ত্রীত্বে রদবদল হতে পারে। সেখানে মুর্শিদাবাদ পেতে পারে আরও এক মন্ত্রী। হুমায়ুন বলেন, “এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে এখনই কিছু বলব না।”
তার আগে আপাতত স্বস্তি ফিরল জেলা তৃণমূল ভবনেও। এমনিতেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টি বিধানসভায় জোড়া ফুল ফুটলেও বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে এখন জেলে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন সুর বদলানোয় আরও একটি বিধানসভায় দলের ফলাফল ভাল না হওয়ার বার্তা ঘুরছিল তৃণমূলের ঘরে। আপাতত সেই অশান্তিতে ছেদ পড়ল বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
(তথ্য সহায়তাঃ বিপ্লব মুখার্জী)