বিদ্যুৎ মৈত্র, মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষকর্তা বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী আইএফএ-র সহসচিব পদে নির্বাচিত হলেন মঙ্গলবার। ওইদিন আইএফএ-র গভর্নিং বডির সভা ছিল। সেখানেই সহসচিব পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করেন প্রদীপ বসু। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী রাকেশ ঝাঁ, বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, মহম্মদ জামাল এবং সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কারও কোনও আপত্তি না থাকায় তাঁরা সহসচিবের পদে বসলেন। দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, “আমার জেলা মুর্শিদাবাদ শুধু নয়। সারা বাংলার ফুটবলের উন্নতি যাতে হয় সেই চেষ্টাই করব।”
আইএফএ-র ইতিহাসে জেলা থেকে বিশ্বজিতের আগে কেউ এত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। সেই অর্থে মফঃস্বলের বিশ্বজিৎকে মহানগর চিনেছে তাঁর নিবিড় কর্মযজ্ঞে। এর আগে অবশ্য তিনি আইএফএর সহ সভাপতি পদে ছিলেন। মুর্শিদাবাদে খেলার জগত এক নামেই চেনে বিশ্বজিতকে। সুনাম খুইয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ খেলার জগতে পেছনের সারিতে মুর্শিদাবাদ। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিলেন জেলার খেলার একাধিক কেষ্টবিষ্টুরা। সংবাদমাধ্যমকে “মিথ্যা তথ্য” দিয়ে নিজেদের ঢাক পেটানোয় অভ্যস্ত তাঁদের কারও কারও জন্য নষ্ট হয়েছে জেলার খেলার সুনাম। সেদিক থেকেও ব্যতিক্রম বিশ্বজিৎ।কখনও নিজের চেষ্টায় কখনও স্থানীয় ক্লাবের সহযোগিতায় কোচ বিশ্বজিৎ ভলিবল থেকে ক্রিকেট জেলার ছেলেদের নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন রাজ্যের একাধিক জেলায়।
পরে জেলা সংগঠনের দায়িত্বে এসে মন দিয়েছেন খেলার জগতে জেলার সুনাম কুড়িয়ে আনতে। তাঁরই চেষ্টায় মুর্শিদাবাদে সিএবি’র টুর্নামেন্ট হওয়া এখন নিয়মিত হয়েছে। দাবি ,একসময় যাঁরা খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাদের একাংশকে মাঠে ফিরিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকর্তারা বিশ্বজিতের নেতৃত্বে। ছেলেদের উৎসাহ ফিরেছে ফুটবলে,হকিতে। মেয়েরাও আসছে। যদিও এখনও অবস্থা অনুকুলে নয়। এখনও অনেক পথ বাকি। বন্ধুর পথ, তবু জেলার ক্রীড়া মহলের আশা আগামী দিনে বিশ্বজিতের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে মুর্শিদাবাদের খেলা। বিশ্বজিতের মতো আইএফের এদিনের বৈঠকে দ্বিতীয় চমক ছিলেন সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়। প্রায় তিরিশ বছর পর মহিলা সহসচিব পেল আইএফএ। অনিমা পণ্ডিতের পর এদিন দ্বিতীয় মহিলা সহ সচিব হলেন সুদেষ্ণা।
Congratulations dada