
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমপাড়া -১, সোমপাড়া -২, রামপাড়া -১ এবং রামনগর বাছড়ার মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শাহনাজ বেগম। সে কথা লিখে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। তিনি লিখেছেন, ” একই আসনে পরপর তিনবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন।
এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে দল-মত এবং জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে আমার অভিভাবক হয়ে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, দোয়া করেছেন। আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা চিরদিন থাকবে। চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আপনাদের দেওয়া টার্ম পূর্ণ হওয়ার আগেই আমি সদস্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হলাম।”
শুধুমাত্র জেলা পরিষদের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়েই তিনি পরিষদের সদস্য পদ ছেড়েছেন তা নয়। তিনি অভিযোগ করেন ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল থেকেই তাঁকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া হয় নি। ষড়যন্ত্র করে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল দলের তৎকালীন সভাপতি শাওনি সিংহ রায়। তাঁর মনে হয়েছিল শাহনাজ জিতে গেলে তাঁকে সভাধিপতির পদ দিতে পারেন ‘দিদি’। সেই আশঙ্কা থেকেই শাহনাজকে নির্বাচনে লড়তে দিতে চাননি শাওনি, এমনটাই দাবি জেলাপরিষদের পদত্যাগী সদস্যের।
এমন কি জেতার পরেও তাঁকে ওই পদে বসাতে বাধা দিয়েছেন শাওনি। যদিও শাওনি সিংহরায় সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ” এটা দলগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। সব বিধায়করা নিজের এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নাম প্যাডে লিখে জমা দিয়েছিলেন। দলের দুই জেলা সভাপতি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানরা ছিলেন। সকলে মিলে খলিলুর দা’র (রহমান) বাড়িতে বসে ঠিক হয়েছিল সভাধিপতির নাম। এগুলো অভিযোগ করতে হয় তাই করছেন।”