সংবাদ প্রতিনিধি, সংবাদহাজারদুয়ারিঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ফের চ্যালেঞ্জ করলেন বহরমপুরের (Berhampore) সাংসদ। সোমবার তিনি বলেন, “দিদি কিংবা খোকাবাবু আমার চ্যলেঞ্জ গ্রহণ করুক। দিদি বলে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস শেষ। কংগ্রেসের কোনও পঞ্চায়েত নেই, পুরসভা নেই, বিধায়ক নেই। তবু হয় দিদি না হয় খোকাবাবু আমার বিরুদ্ধে লোকসভায় লড়াই করুক।”
এরপর তিনি বলেন, ” আমি হেরে গেলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। আপনারা যদি হেরে যান তাহলে বলুন আপনারা রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন। হোক চ্যালেঞ্জ।” এমনকি তিনি এও বলেন, “অন্তত বলুন বহরমপুর আসনে কংগ্রেসের জেতা মানে আপনার পরাজয়।”পাঁচ বারের সাংসদ, লোকসভার পিএসি চেয়ারম্যান, সংসদ মহারত্নে ভূষিত অধীর চৌধুরী ( Adhir Chowdhury).তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেের মতে গোষ্ঠী কোন্দলে জীর্ণ দলকে সবক শেখাতে প্রার্থী ‘হায়ার’ করেছেন মমতা। সোমবার কংগ্রেসের (Congress)এর জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, ” যে কোনও ব্যক্তির যে কোনও প্রান্তে দাঁড়ানোর অধিকার আছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলবার নেই। ”
তবে সংখ্যালঘু ভোটকে বিভাজিত করতে তৃণমূল বহরমপুরে সংখ্যালঘু মুখকে প্রার্থী করেছে বলে রবিবার দাবি করেছিলেন তিনি। এদিনও একই দাবিতে অনড় ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ। একইসঙ্গে অধীর এদিন তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে উসকে দিয়েছেন। বলেছেন ” তৃণমূল দলের মনে হয়েছে দলে স্থানীয় প্রার্থীর যোগ্যতা নেই। তাই তারা বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে আসছে।”
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) গলাতেও ছিল হতাশার ইঙ্গিত। অধীরকে হারাতে বহরমপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি, দাবি সূত্রের। কিন্তু মমতা সেই ইচ্ছেকে গুরুত্ব না দিয়ে ‘বহিরাগত’ ইউসুফকে প্রার্থী করেছেন। সেই প্রসঙ্গে ফোনে হুমায়ুন সংবাদ হাজারদুয়ারিকে বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে খুব একটা পছন্দ করেন না সাধারণ মানুষ। আমাকে তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হয়। তাঁদেরকে বোঝাব। তাঁরা মেনে নিলে ফল ভাল হবে। আর সাধারণ মানুষের মনে জায়গা না করতে পারলে ফল যা হওয়ার হবে।”