মেজাজ হারানো রাতের অধীর সকালে ভোট চাইলেন হাসিমুখে

Social Share

সংবাদ প্রতিনিধি, বহরমপুরঃ হাতিনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পায়ে হেঁটে ভোট চাইলেন বহরমপুর লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সঙ্গে সেনাপতি মনোজ চক্রবর্তী। ২৪ ঘন্টাও কাটে নি। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের এক অপ্রীতিকর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অধীরের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, “বিজেপি’র বহরমপুর জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের প্ররোচনায় পা দিয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন অধীর।”

হাতিনগরে ভোট প্রচারে অধীর

রাম নবমীর দিন মুর্শিদাবাদের একাংশে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাঁদেরকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জরুরি ভিত্তিতে। সেখানে আহতদের দেখতে আগেই ভিড় করেছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। হাসপাতালে ছিলেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কও।

রাতের দিকে মালদার জনসভা শেষ করে সেখানে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেখে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। ছুটে এসে তাঁর সামনে গো-ব্যাক শ্লোগান দিতে থাকেন বহরমপুরে বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার। তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করেন জয়ন্ত দাস, শিলাদিত্য হালদাররা। তাঁদেরকে টপকে অধীরের কাছে পৌঁছতেই শাখারভকে ধাক্কা মারেন অধীর। যা নিয়ে ফের সমালোচনার মুখে পড়লেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ। দুই দলের নেতাদের নজিরবিহীন কান্ডে ভাঙল মুর্শিদাবাদের মেডিক্যাল কলেজের নীরবতা।

শাখারভ বলেন, “অধীর বাবু নিজে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে গন্ডগোল পাকিয়েছেন। আর এখন হাসপাতালে ন্যাকামো করতে এসেছেন। আমাকে ধাক্কা মেরে মুখ ফাটিয়ে দিয়েছেন। উনি এখন অচল দু’হাজার টাকার নোট।”

অধীর বলেন, “আমি মালদা থেকে হাসপাতালে এসেছিলাম আহতদের দেখতে। আসার পর সেখানে জনা কয়েক বিজেপির কিছু নেতা বিক্ষোভ দেখান। নাটক করে লাভ নেই।” প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখ নিলয় প্রামাণিক বলেন, “একদল সুবিধাবাদী ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করে প্রদেশ নেতৃত্ব আগেই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে রেখেছিল। তার জন্যই অধীর চৌধুরীকে গো-ব্যাক শ্লোগান দিচ্ছেন বিরোধীরা।”

বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “আহতদের জন্য কী করবার প্রয়োজন তা দেখার জন্য ব্যস্ত আছি আমি। কোথায় কী ঘটেছে তা প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকার সৌভাগ্য আমার হয়নি। মিডিয়ায় ফুটেজ খেতে ব্যস্ত যাঁরা তাঁদেরকেই জিজ্ঞাসা করুন কী ঘটেছে হাসপাতালে। তাঁরাই সত্য মিথ্যা বলে দেবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights