সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ গত পাঁচ মাস ধরে বেতন বন্ধ বহরমপুর পুরসভার দুই কর্মীর। ‘অন্যায়ভাবে’ বেতন আটকে রাখার অভিযোগ তুলে গত জুলাই মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দুই কর্মী গীতা চৌধুরী ও শিবানী সাহা। তাঁদের আইনজীবির দাবি মতো, আদালত সাত দিনের মধ্যে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। অথচ বহরমপুর পুরসভা সেই নির্দেশ মানেনি। এই নিয়ে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ আগেও সরব হয়েছিলেন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন পুরসভার বিরুদ্ধে। দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের মানুষ অধীরের পক্ষে থাকায় পুরসভার চেয়ারম্যান এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকান্ডের জেরে উত্তাল বাংলা। এই সময় ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ওই দুই কর্মীর হয়ে বিচার চাইলেন অধীর। দিন কয়েক আগে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মাঝে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, কোথায় কী অন্যায় হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে তা তাঁর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। সে কথা স্মরণ করিয়ে অধীর মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন, বেতন বন্ধ হওয়া ওই দুই কর্মীর জন্য বিচার চাইছি। পুজোর আগেই ওদের বন্ধ থাকা বেতন মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছি।
বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদেরও খারাপ লাগছে। তবু বলব, ওই দুই কর্মী আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমরা আদালতে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেব। ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সেজন্যই শো-কজ করা হয়েছিল। উত্তর দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে টানাপোড়েন নয়। অধীর চৌধুরী এখানে ঢুকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
আরও পড়ুনঃ নাগাড়ে বৃষ্টি, নাকাল যাত্রী, বেহুঁশ রেল
বেতন বন্ধ ইত্যাদি তো চলছে সেই ভোট শেষ হবার পর থেকেই। তৃণমূল সব জায়গাতেই গায়ের জোরে বড় হবার চেষ্টা করে। আরজিকর আন্দোলনও কি ক্ষমতার জোর দেখানোর বিরুদ্ধে না ?