বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুর: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভোগান্তির অন্ত নেই বহরমপুর স্টেশনের যাত্রীদের। সেদিকে হুঁশই নেই রেল কর্তাদের। এদিকে রেলের তরফ থেকে এই স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশনের মতো গালভরা নাম দিয়ে নাগাড়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রচার চালানো হচ্ছে সর্বত্র।
২০২৩ সালে দেশব্যাপী ১২৭৫টি স্টেশনকে সাজিয়ে গুছিয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত স্টেশন হিসেবে গড়ে তুলবার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বহরমপুর স্টেশনটিও সেই তালিকায় আছে। কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু তার গতি এত ধীর, যে যাত্রীদের ধারণা “এই কাজ শেষ হতে আরও একটি লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে যাবে।”
অমৃত ভারত প্রকল্পের আধুনিক যাত্রী সুবিধাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে বছর ঘুরতে চলল বহরমপুর স্টেশনের আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্মের যাত্রী শেড ভেঙে ফেলা। কিন্তু নতুন করে আর ছাউনি না লাগানোয় কি রোদ, কি বৃষ্টি মানুষজনের কষ্টের অন্ত নেই। ট্রেন ধরতে গিয়ে অসহায়ভাবে রোদে পুড়তে হয়, না হয় বাধাহীন ভিজতে হয় বৃষ্টিতে। বেলডাঙার বাসিন্দা জাহিন শেখ রবিবার বহরমপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে সে কথাই বলছিলেন। বললেন, “সবক্ষেত্রে দিনদিন রেল যাত্রা বেদনাদায়ক হয়ে উঠছে।”
আর তা বেগ পেয়েছে গত ক’দিন ধরে বিরামহীন বৃষ্টিতে। গত তিন দিনে মুর্শিদাবাদে গড়ে ৪৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতি কমলেও আজ সোমবারও বিরাম নেই বৃষ্টিতে।
বহরমপুরের স্টেশনের দায়িত্বে থাকা পূর্ব রেলের আধিকারিকদের এ ব্যপারে কথা বলা মানা। তাঁরাও যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত, হাবেভাবে তা বুঝিয়েও দিচ্ছেন। তাতে কী ? যে ব্যক্তি এই কাজের বরাত নিয়েছেন সেই ঠিকাদারের দিকেও আঙুল তুলছেন তাঁদের একাংশ।
বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলছেন, “একটা ভালো কাজ করতে সময় লাগে। আমি তবুও রেলের ডিআরএমকে রেল যাত্রীদের কষ্টের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছি। ছবি তুলে ভিডিও তুলে দাবি করেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই শেড তৈরি করে দিতে হবে। হয়ত মাসখানেকের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে কথা দিয়েছেন ডিআরএম।”
আরও পড়ুনঃ শহরের হেঁসেলের গন্ধ নিতে রেঁস্তোরায় ইউসুফ
একদম টু দ্য পয়েন্ট রিপোর্।ট শেড না থাকায় রোদেও কষ্ট, বৃষ্টিতেও।
অনেক দিন আগেই এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার কথা বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। জানতাম ২ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে নামতে, উঠতে যাত্রীদের খুব কষ্ট হবে।
কিন্তু রেল চলে নিজের নিয়মে। যাত্রীদের কাছ থেকে পয়সা নেয় রেল কিন্তু অনেক ক্ষেত্রের মতোই এখানেও একরাশ অবহেলা।
আজকের দিনে, এত লম্বা সময় নিয়ে কাজ করার যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।