বেলডাঙা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি অধীরের

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেলডাঙায় কী ঘটছে? তা জানতে আগ্রহী তামাম রাজ্যবাসী। মূল ঘটনা ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গিয়েছেন সোশাল মিডিয়ার সৌজন্যে। ঘটনার পরবর্তী সময়ে পথ অবরোধ থেকে ইট বৃষ্টি এমনকি দুপক্ষের ঝামেলায় সকেট বোম ফাটানোর ভিডিও শেয়ার হয়েছে নেট দুনিয়ায়। আর তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়েছে গুজব। যদিও প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে রাশ টেনেছে। তবু তা থামছে না। স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অবশ্য দাবি, “বেলডাঙা শান্ত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক বোঝাতে এলাকায় স্কুল, দোকান বাজার খোলা রাখারও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু হিংসা থামার লক্ষণ নেই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাহারপাড়া, কাপাসডাঙা, মাড্ডা এলাকায় নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার খেপে খেপে ট্রেনে চেপে বহরমপুর থেকে পুলিশ বাহিনী ও সন্ধ্যায় মহিলা পুলিশের একটি দল বেলডাঙায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নাগালে এখনও আসেনি বলেই দাবি ওই বাহিনীর।

এই অবস্থায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের তোষণ নীতিকে দায়ি করে এনআইএ (National Investigation Agency)-র দাবি তুলেছেন। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীও বেলডাঙার ঘটনায় উদ্বিগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিবৃতিও দাবি করেছেন অধীর। ঘটনার পরের দিন আহতদের দেখতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। এলাকায় যেতে চেয়েও তিনি অনুমতি পাননি। তারপরেও এলাকার প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলীয় অফিসে যেতে গিয়ে বড়ঞায় তাঁর পথ আটকায় পুলিশ।

সশরীরে এলাকায় হাজির হতে না পারলেও এলাকাবাসীকে শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন অধীর। প্রশাসনের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ” রাম নবমীর দিন এইভাবেই শক্তিপুরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। ভোটে হারানোর জন্য। এবারও সেই উৎসবের দিনে এক ষড়যন্ত্র করা হল।” তিনি এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন।

এই ঘটনার জেরে পুলিশ জেলা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কী কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছে তা বলা হচ্ছে না বলেও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নেতা অধীর দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা আমরা জানি। তাই সেখানকার সাতটি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণও আমরা জানি। কিন্তু এখানে কত বড় ঘটনা ঘটল যে কারণে জেলা জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হল। যদি তেমন বড় কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতি দেওয়া উচিত।” আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে আরও বেশি গুজব ছড়াচ্ছে বলেও এদিন অধীর দাবি করেছেন। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য বলেন, ” পরিস্থিতি সামলাতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights