
বিদ্যুৎ মৈত্রঃ ভরতপুর বিধানসভার দুটি ব্লক। ভরতপুর এক ও ভরতপুর দুই। দুই ব্লকের দূরত্ব দশ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই বিধানসভার বিধায়ক তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর। অথচ বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের নাম পরিবর্তন করে সালার করার দাবি তুলেছেন তিনি। অধিবেশন থেকে বেরিয়ে অপূর্ব বলেন, ” এখানে স্কুলের নাম, কলেজের নাম, থানার নাম সালার দিয়ে আছে। ওটাই ব্লকের পরিচয়। কিন্তু ব্লকের নাম ভরতপুর ২। তাই ব্লকের নাম পরিবর্তন করে সালার রাখার দাবি তুলেছি।” প্রশাসনের নিয়ম মেনে এই নাম পরিবর্তন হতে অবশ্য সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
তবে পড়শি বিধায়কের এহেন দাবিতে অসন্তুষ্ট হুমায়ুন। মুখে অবশ্য বলেন, ” ভালোই তো। নাম পরিবর্তন করতে পারলে ভালোই তো হবে।” এরপরেই তাঁর কটাক্ষ, “এর আগেও ভরতপুর ২ ব্লককে পৌরসভা করবার কথা বলেছিল ও। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে সেটা ওকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।” অপূর্ব বলেন, ” পুরসভা হবে না কে বলেছে। আমাদের সব প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনায় থাকে।”
তবে বিধানসভায় এই প্রস্তাব করলে নিজেকে প্রচারের আলোয় আনা যায়। একথা বলে হুমায়ুন বলেন, ” নাম পরিবর্তন তো জেলাশাসকের ব্যাপার। তার কাছে ব্লক স্তর থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। জেলাশাসক সেই প্রস্তাব নবান্নে পাঠায় বলেই জানি।”
সেক্ষেত্রে এলাকার বিধায়কেরও একটা ভূমিকা থাকে? হুমায়ুন বলেন, ” ও (ডেভিড) নিজেকে জেলার সবকিছুর অধিকারী মনে করে বলেই উপযাচক হয়ে আমার বিধানসভা ব্লকের নাম পরিবর্তন করতে বলেছে। তবে শুধু ভরতপুর কেন? একই যুক্তিতে বেলডাঙা ১ ও ২ ব্লকের দূরত্ব পনের কিলোমিটারের বেশি। বেলডাঙা ২ এর সবকিছু শক্তিপুর নাম দিয়ে চলে। তাই ওখানকার নাম পরিবর্তন করে শক্তিপুর করা হোক, রানিনগর ১ কে পরিবর্তন করে ইসলামপুরও করা উচিত। এক্ষেত্রে একটা জায়গা দিয়ে নয়, যদি ভরতপুর ২ পরিবর্তন হয় তাহলে প্রশাসনকে সব জায়গার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”