
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জনগনের জন্য আলু ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আলু ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারি একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাচার করে রাজ্যের বাজারে আলুর দাম বাড়িয়ে জোগান ঘাটতির ‘ফন্দি এঁটেছিলেন’ ব্যবসায়ীরা। যা সরকার বুঝে ফেলে পাল্টা চাপ বাড়াতেই মঙ্গলবার পিছু হটলেন আলু ব্যবসায়ীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে আড়ালে রেখেই ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি হচ্ছিল ভিন রাজ্যে। সে কথা জানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল রাজ্যের চাহিদা না মিটিয়ে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি করা যাবে না। আর তাই নিয়ে আলু ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। সমস্যা মেটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে।সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দু’দিন আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে আপাতত জট কাটে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জগবন্ধু মণ্ডল বলেন, ” জনগণের কথা চিন্তা করে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।” মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেচারহাটে আলু ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে সমিতির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাত থেকেই হিমঘর থেকে আলু বাজারে নামবে বিক্রির জন্য। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই আলু বাজারে মিলবে বলে আশ্বাস দিলেও ব্যবসায়ীরা অবশ্য দাম কমা-বাড়া নিয়ে কোনও গ্যারান্টি দিতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই শীতের শুরুতে আলুর দামে ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার বাজারে গিয়ে অতিরিক্ত দু-থেকে তিন টাকা বেশি দিয়ে এক কেজি আলু কিনতে গিয়ে তা টের পেয়েছে মধ্যবিত্ত।
ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি করতে না দিলে সোমবার রাত থেকে হিমঘর থেকে আলু বাজারে নামবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই কারণে বাজারে আলুর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে কোথাও কেজি প্রতি ৩৫ টাকা তো কোথাও প্রতি কেজি আলু ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, ” ফড়ে রাজের জন্য আলুর সংকট বাজারে। তার সমাধান না করে সব দোষ আলু ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার। দালালদের খুশি করার জন্য পাইকারি বাজারের থেকে খুচরো বাজারে আলুর দাম বেশি হচ্ছে।” সুফল বাংলা স্টলে আলু পাচ্ছে না কেন মানুষ ? সেই প্রশ্ন তুলে অধীর বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে রাজ্যের।”