
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আটজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন মহিলা। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ভারতীয় নাগরিককেও। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত আট বাংলাদেশি মুর্শিদাবাদে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে গুজরাতে কাজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু পহেলগাম ঘটনার পর গুজরাতে পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় পুলিশের নজর এড়িয়ে গুজরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে তারা। দিন চারেক আগে গুজরাত থেকে এসে বহরমপুরে গোপন ডেরায় ছিল দু’রাত্রি। এই দুদিনেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় জামাল শেখের সঙ্গে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার কাতলামারি পালপাড়ার বাসিন্দা দালাল জামালের মাধ্যমে বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করত। এদিনও ধৃতরা জামালের মাধ্যমে একটি গাড়িতে ওঠে রানিনগর সীমান্তে যাওয়ার জন্য। সেখানেই রাতের অন্ধকারে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও মুর্শিদাবাদ পুলিশের সক্রিয়তায় তা ভেস্তে যায়। মুর্শিদাবাদের প্রসাদপুর ও তেঁতুলিয়ার মধ্যবর্তী গৌরীবাগ সেতুর কাছে শনিবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃত আট বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে তিনজনের কাছ থেকে গুজরাতের ঠিকানা লেখা ভুয়ো আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রবিবার কালিঘাট থানার পুলিশের হাতেও গ্রেফতার হয়েছে জাফর আলী নামে এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সংশোধনাগারগুলিতে এই মুহুর্তে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি গ্রেপ্তারির সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংশোধনাগারগুলিতে বন্দিদের স্থান অকুলান বলে সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায়। বিশেষ করে দমদম, বহরমপুর, বালুরঘাট, বনগাঁ সংশোধনগারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ মেনে নতুন করে ধৃত অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তারির পথে না গিয়ে সরাসরি সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব বিবেচনা করছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর। শুক্রবার নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, গুজরাট, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যও এই নীতি অবলম্বন করেছে। সক্রিয় হচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও।