
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৯৩৪ সালে শান্তিনিকেতনে বসে রবীন্দ্রনাথ ইমনকল্যাণ রাগে লিখেছিলেন “মায়াবনবিহারিণী হরিণী/ গহনস্বপনসঞ্চারিণী/ কেন তারে ধরিবারে করি পণ।/ অকারণ।” ত্যাগেই মুক্তি রবীন্দ্রনাথ বুঝলেও সাধারণ মানুষের তা বোঝার ঊর্ধে।
এক্ষেত্রেও তাই। ব্যাঙ্গালুরুর হরিণীকে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের জনবহুল এই শহরের যশাস। বছর খানেক ধরে একটু একটু করে জমাট বেঁধেছিল দু’জনের সম্পর্ক। অভিসারেও বাধা ছিল না কেউ। কিন্তু ওই যে গোপন কথাটি রবে না গোপনে। দুই সন্তানের জননী হরিণীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গেল তাঁর বাড়ির লোক। তারপর থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু।
স্বামী সন্তানের ভরাট সংসারে কলঙ্কভাগী হতে নারাজ হরিণী, যশাসের কাছ থেকে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। যশাস তা আন্দাজ করেছিল। কিন্তু বাড়তে থাকে জেদ। পুলিশ জানিয়েছে, তা বুঝতে পেরে OYO হোটেলে প্রেমিককে ডেকে নিয়ে যায় হরিণীই। সেখানে যশাসকে বোঝানোর চেষ্টা বিফলে যায়। তাঁর আপত্তির কথা স্পষ্ট করে হরিণী। আর সেই আপত্তিই ডেকে আনে তাঁর মৃত্যু। ৩৩ বছরের তরুণী বধুকে ১৭ বার ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বছর পঁচিশের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী যশাস।
পূর্ণপ্রজ্ঞা লেআউট এলাকার একটি OYO হোটেলের ঘরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। খুন করে পালিয়ে যায় যশাস। ঘটনাটি সামনে এসেছে সোমবার সকালে। হোটেলের কর্মীরা হরিণীর দেহ উদ্ধার করে। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ যশাসকে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণ বেঙ্গালুরু পুলিশের DCP লোকেশ বি জগলাসার বলেন, ‘রাগ ও ঈর্ষার বশেই তরুণীকে ছুরি দিয়ে খুন করে অভিযুক্ত।’