
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যাত্রীকে হোটেলের দুয়ারে নামাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে অটো চালক আজাদ শেখের। বেআইনি বলে তাঁকে প্রথমে শাসানো হয় পরে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন বহরমপুরে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা কর্মরত পুলিশ কর্তারা। ঊর্দিধারীদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ অটো চালকদের। তাঁদের দাবি, ” আজাদের মাথা ফাটিয়ে তাঁকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর বাবলু মন্ডল। “
বৃহস্পতিবার সকালের সেই ঘটনার পর ওইদিন দুপুরে প্রতিবাদে গির্জার মোড়ে পথ অবরোধ করে বসে পড়েন অটো চালকরা। সেই অবরোধ ওঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায় তাঁদের। অবরোধ ওঠাতে ট্রাফিক পুলিশ ব্যর্থ হলে বহরমপুর থানার আইসি উদয় শঙ্করের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হয় শহরে।
তবে আজাদকে পেটানোর নেপথ্যে রয়েছে অঙ্কের গরমিল, বলছেন তৃণমূল আশ্রিত অটো ইউনিয়নের সদস্যরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছর জুন মাসে এক অটো চালক আকবরের গাড়িতে কয়েকভরি সোনা ও নগদ প্রায় চার লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিলেন হাটপাড়ার এক বাসিন্দা। সেই টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে আকবর কী করবেন জানতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সেই সময় আকবরের সঙ্গে ছিল আজাদও। আইএনটিটিইউসির অটো ইউনিয়নের সম্পাদক লাল্টু শেখ বলেন, ” ওই সোনা ও টাকা ভর্তি ব্যাগ মালিককে খুঁজে পুলিশ ফেরত দেবে বলেছিল। আমরা বলেছিলাম সংগঠনের অফিসে ডেকে সঠিক ব্যক্তির আধার কার্ড ও অন্য পরিচয় পত্র দেখে আমরা ফেরত দেব।পুলিশের রাগ ওখানেই। তারই বদলা নিতে বাবলু মন্ডল আজ আজাদকে মেরে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিল।” তিনি আরও বলেন, ” বাবলু মন্ডল সহ দোষী পুলিশদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” তৃণমূলের বহরমপুর সংগঠনের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ” আমি পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। ” মেলেনি পুলিশের মত।