
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ সহ চার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বদলির নির্দেশ পাঠাল বিকাশভবন। মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীলকে বিকাশভবনে পাঠানো হয়েছে। অ্যাডিশনাল ডাইরক্টেট অব স্কুল এডুকেশন (ADSE) পদে অবসরপ্রাপ্ত সুশান্ত কুমার পন্ডার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। পশ্চিম বর্ধমান থেকে বদলি হয়ে মুর্শিদাবাদে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্ব নেবেন সুনীল সাঁপুই।
ঝাড়গ্রামের সৌমেন চন্দ্র লাহা বদলি হয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্ব নেবেন। তবে ঝাড়গ্রামে আলাদা করে কাউকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদে পাঠানো হচ্ছে না। সেখানে অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পাশাপাশি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদ সামলাবেন অজয় কুমার মহাপাত্র।
২০১৯ সালের পর প্রায় ছ’বছর মুর্শিদাবাদে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদে ছিলেন অমর কুমার শীল। শুরুতেই বহরমপুরের একটি স্কুলের মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাশা করিয়ে দেওয়ার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। ইদানিং শিক্ষকদের একটা বড় অংশ এমনকি তৃণমূল শিক্ষা সেলের পক্ষ থেকেও শিক্ষাভবনে নানান দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষকদের হকের দাবি প্রাপ্তিতে। এমনকি অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া শিক্ষকও পার পেয়েছেন বিনা বাধায়। একাংশ শিক্ষকের অভিযোগ, “আর তা হয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অঙ্গুলি হেলনেই।” সরাসরি সেই দুর্নীতিতে ডিআই যুক্ত আছেন এমন অভিযোগের অকাট্য প্রমাণও অবশ্য দিতে পারেননি কেউ। তেমনি জেলায় যখন হু হু করে ছাত্র কমছে সেই ব্যাপারে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে কোনও সদর্থক ভূমিকা নিতেও দেখা যায়নি। সরকারের বেঁধে দেওয়া ভর্তি ফি’র অতিরিক্ত ফি স্কুলগুলি দাবি করলেও শুধুমাত্র ‘নেওয়া যাবে না’ লিখে চিঠি পাঠিয়েই দায় সেরেছেন ডিআই, এমন অভিযোগও উঠছে জেলার শিক্ষক মহল থেকে।
তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি সুদীপ সিনহা বলেন, ” আমরা চাই শিক্ষাভবনে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসুক। সকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক। জেলায় শিক্ষার মান বাড়ুক।”