বহরমপুরে রামনবমী নিয়ে টক্কর বিজেপি ও তৃণমূলের

Social Share
ধারাল অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল রামনবমীর মিছিলে

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রামচন্দ্রের জন্মদিন উপলক্ষে রামনবমী। রামকে হিন্দুদের দেবতা হিসেব মান্যতা দেওয়া হয়। আর ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তাকে নিয়ে চালু হয়েছে ধর্মযুদ্ধ। মূলত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আয়োজনে বরাবর রাম নবমী পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গেও। কিন্তু বিজেপি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে থেকে রামকে একমাত্র তাঁদেরই ইষ্ট দেবতা ভেবেছে। তার ফলে আজ রাজ্যের প্রতিটি কোণায় কোণায় তা এক উন্মাদনার রূপ নিয়েছে। বাদ নেই মুর্শিদাবাদও। বহরমপুরে রামনবমীর মিছিলে ছিল ধারালো অস্ত্রের ঝনঝনিও।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বকালে বঙ্গের মুসলিমরা সংখ্যালঘুর তকমা হারিয়ে সংখ্যাগুরুর দিকে এগিয়ে চলেছে। তারফলে যেখানে তাদের সংখ্যা বেশি সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদেও ঘটেছে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা। যদিও তৃণমূল সে কথায় কান দিতে নারাজ।

দলনেত্রীর নির্দেশে রবিবার তৃণমূল দলের পক্ষ বহরমপুর শহরের একাধিক জায়গায় শোভাযাত্রা বেড়োয়। মূলত শহরের উত্তর অংশ কুঞ্জঘাটা, কাশিমবাজার, ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় এই শোভাযাত্রা বেড়িয়েছিল। নাগরিক তথ্যপঞ্জী অনুযায়ী ওই অংশে সংখ্যাগুরু বাসিন্দা হিন্দু। সেক্ষেত্রে সরাসরি দলের নাম ব্যবহার করা হয়নি। লেখা হয়েছে রাম-সীতা সেবক সংঘ। যদিও সেই শোভাযাত্রা ঘিরে ছিলেন ওই অঞ্চলের তৃণমূলের নেতা থেকে কাউন্সিলর, প্রত্যেকেই।

চাকরি হারিয়ে শিক্ষকরা যখন বেকার তকমা পেয়েছেন। যখন শহর থেকে গ্রাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উঠছে কান্নার রোল সেই সময় রামের জন্মদিন উপলক্ষে তৃণমূল ও বিজেপি’র উন্মাদনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জনমানসে। কেউ কেউ বলছেন রামায়ণে যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণে। দুজনেই হিন্দু ছিলেন। কিন্তু এখন তা দাঁড়িয়েছে হিন্দু আর মুসলমানের যুদ্ধে। ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুরাই নয়, মুসলিমরাও নানানভাবে রামায়ণ গড়ে তুলেছেন।

প্রবীণ রাজনীতিক কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ” ছোটবেলা থেকেই এই পবিত্র রাম নবমীতে রামের পুজো হতো মেলা হতো। কিন্তু সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটছে তাতে পবিত্র রামকে সামনে রেখে অপবিত্র কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, ” রাম তুমি কার ? এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিজেপি রাম কেড়ে নিলে দিদির ভয় লাগছে। তাই দিদি রামনবমী পালন করতে পথে নামছেন। আসলে দিদি ঠ্যালায় পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে বাংলার মানুষকে এরা অপমান করছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights