সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একেবারে রক্তের মিল। যা সচরাচর নজরে পড়ে না। বাংলা ও গুজরাটের অনেক অমিল। সিপিএম আর কংগ্রেস যাই বলুক গুজরাটের পদ্ম আর তৃণমূলের ঘাস ফুলও ফুল এইটুকু মিল ছাড়া বাকি সব অমিল। সংস্কৃতি থেকে ভাষা সবেতেই তফাত অনেক। তবু এবারে মিল পাওয়া গেল একেবারে রক্তের।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ ডেরেকের
তাও আবার পুলিশে পুলিশে মিল। গুজরাত পুলিশের ডিজি আর বাংলা পুলিশের ডিজি একেবারে পিঠোপিঠি দুই ভাই। বিকাশ সহায় আর বিবেক সহায়। বিবেক বয়সে বিকাশের তুলনায় এক বছরের বড়। বিবেক ১৯৮৮ সালের আইপিএস, বিকাশ ১৯৮৯ সালের আইপিএস।
দুই জনেই দুই রাজ্য পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। কিন্তু বিকাশ ডিজি হয়েছেন বছর খানেক আগে। বিবেক দায়িত্ব পেলেন সোমবার ১৮ মার্চ,২০২৪। মে মাসেই অবসর নেবেন বিবেক। তার আগে দুই ভাই দু-রাজ্যের মানুষকে নির্বিঘ্নে নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়ে যেতে চাইছেন বলে দাবি সূত্রের।
আরও পড়ুনঃ বুধেই বাড়তি দায়িত্বে দেবাশিস কুমার
তবে বিবেক নিয়ে রাজ্যবাসীর ভ্রুও কুঁচকে আছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পায়ে চোট লাগে। সেই সময় বিবেক সহায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে নির্বাচন কমিশনের ২ পর্যবেক্ষক দেখেছিলেন, জেড প্লাস সিকিউরিটি পাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাধারণ গাড়িতে ঘুরছেন আর তাঁর জন্য দেওয়া বুলেটপ্রুফ ভেহিকলে ছিলেন তৎকালীন ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি বিবেক সহায়। তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন ওই দুই পর্যবেক্ষক। এরপরই বিবেক সহায়কে তাঁর পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
২০২২ সালেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই নিরাপত্তার গাফিলতি ধরা পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে এক যুবক ঢুকে পড়েন। প্রাথমিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৎকালীন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব বিবেক সহায়কে নিরাপত্তা অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে ডিজি প্রভিশনিং করে দেওয়া হয়। এদিন নির্বাচন কমিশন তাঁকেই বসালো রাজ্য পুলিশের শীর্ষাসনে।