সংবাদ প্রতিনিধি, কলকাতাঃ শেষবারের মতো আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হল সিপিএমের প্রবীণ নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নিথর দেহ। এদিন রাজ্যের শেষ বাম মুখ্যমন্ত্রীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সিপিএমে পার্টি অফিসে দলীয় কর্মী সমর্থকদের অগনিত মানুষের ভিড়। দিল্লি থেকে এসেছেন প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত। সীতারাম ইয়েচুরিকে অবশ্য দেখা যায়নি। সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক ডি রাজা। কমরেড বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও। কাস্তে-হাতুড়ি তারা আঁকা লাল সালু দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে বাংলায় শিল্পের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বুদ্ধদেবের মরদেহ। শুক্রবার বিধানসভা থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট পর্যন্ত শববাহি শকটে নিয়ে আসা হয় বাংলার ১১ বছরের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের দেহ। সেই সময় মাথা নুইয়ে যেন সেলাম ঠুকেছে কলকাতার রাজপথ।
দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বুদ্ধদেবের পরিচয় একজন সাহিত্যিক হিসেবেও। অসংখ্য বিদেশি কাব্য অনুবাদ ছাড়াও লিখেছেন অনেক নাটক। “দুঃসময়” এর মত বিতর্কিত নাটক ও লিখেছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনি লিখেছেন মৌলিক কবিতাও। এদিন তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছেন তাঁর একসময়ের সহযোদ্ধারা।
প্রমোদ দাশগুপ্তের যোগ্য শিষ্য বুদ্ধদেব শিখিয়ে গিয়েছেন “এ লড়াই লড়তে হবে, এ লড়াই জিততে হবে”। বুদ্ধদেবের শেখানো সেই পথেই হাঁটবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতী সাহারা দাবি বাম যুব নেতৃত্বের।