
সংবাদহাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল বহরমপুরের চিকিৎসক তথা বিজেপি সদস্য নির্মল সাহার। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি’র প্রার্থী হয়ে বহরমপুর আসন থেকে লড়াই করেছিলেন। সেই সময় তাঁর দেহরক্ষী দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ওই নির্বাচনে জঙ্গিপুর লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলন বিজেপি’র জঙ্গিপুর সংগঠনের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ। তাঁকেও এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। সরকারিভাবে বুধবার তাঁদের কাছ থেকে নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে রাজ্যের এই দু’জনই শুধু নয়, ৩২ জন বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল ২০২৪এ। তারমধ্যে তৃতীয় দফায় জঙ্গিপুরের নির্বাচন ছিল ৭ মে। আর পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৩ মে ছিল বহরমপুরের নির্বাচন। ফলাফল ঘোষিত হয় ৪ জুন। প্রচার পর্ব থেকেই তাদের এই দুই প্রার্থীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনের প্রার্থী গৌরী শঙ্কর ঘোষ এলাকার বিধায়কও। তাঁর সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী থাকেন।সেই কারণেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা হয়নি বলে দলের একাংশের মত।
তবে চিকিৎসক নির্মল সাহার সঙ্গে ইদানিং কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই শহর এমনকি কলকাতা কিংবা তার বাইরেও যাতায়াত করেছেন। যেহেতু এই নিরাপত্তা রক্ষী রাখা না রাখা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে তাই চিকিৎসক সাহা ভোট পর্ব পার করে নতুন সরকার গঠনের পর ২২ জুন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের কথা লিখিতভাবে দলকে জানিয়ে ছিলেন বলে এদিন জানান তিনি। তাঁর দাবি, ” আমাকে এখনি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তো পরক্ষণেই কারও চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে। সব সময় সঙ্গে করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে আমার ভালোও লাগে না। আমার প্রয়োজনও নেই। তাই দলকে তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষী তারপর থেকে ছিল না। আজ হয়ত সরকারিভাবে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে।”
তবে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারে ক্ষুণ্ণ বিজেপি’র জঙ্গিপুর সংগঠনের সভাপতি ধনঞ্জয়। তিনি বলেন, ” বিষয়টি আমি জানি না। আমার সঙ্গে এখনও নিরাপত্তারক্ষী আছেন।” তিনি আরও বলেন, ” নিরাপত্তার স্বার্থে রক্ষী দেওয়া হয়েছিল। দল এখন মনে করছে নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই তাই হয়ত তুলে নিয়েছে।” তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন কি না জানতে চাইলে ধনঞ্জয় বলেন, ” আমাদের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল শাসনকালে আমার মনে হয় সাধারণ মানুষ কেন? পুলিশেরও নিরাপত্তা নেই। তাদের টেবিলের তলায় লুকোতে হয়। ফাইল দিয়ে নিজেদের আড়াল করে। কিন্তু আমরা নিরাপত্তারক্ষী গতদিনেও চাইনি এখনও চাইনি। গোয়েন্দা দফতর ভেবেছিল নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন আছে তাই দিয়েছিল। এখন যদি মনে করে প্রয়োজন নেই তাও তাদেরই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” যদিও বিজেপি’র অনেক সভাপতি কেন্দ্রের নিরাপত্তা পায়, সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ধনঞ্জয়, দাবি দলেরই একাংশের।