সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পড়ুয়া নয় রাম-বামের ‘বহিরাগত’ রাজনৈতিক মানুষজন একত্রিত হয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। ঘটনার পরের দিন বিকেলে রাজভবনে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আমাদের কোনও রাগ নেই। ওরা করেনি। আমি ওদের সমর্থন করি। কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে যে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো এর মধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।” সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আজ ম্যাক্সিমাম ফেক ভিডিয়ো চলছে বলেও এদিন তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে এদিন ওই হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক কাণ্ডে জড়িত দোষীদের ফাঁসির দাবিতেও অনড় থাকেন তিনি।
তবে গতকাল রাতে ওই তান্ডবে এদিন প্রশস্তিতে ভরিয়ে দিলেন কলকাতা পুলিশকে। পুলিশ ধৈর্য্য হারায়নি বলে মনে করেন মমতা। তিনি মনে করেন, ” শান্তির জন্য কাউকে পাল্টা আক্রমণ করেনি পুলিশ।” উল্টে ডিসির মাথা ফাটানোর ঘটনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিসি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। জ্ঞান ছিল না। ভোর চারটে পর্যন্ত আমি জেগে ছিলাম ওকে হাসপাতালে ভর্তি না করা পর্যন্ত।” বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “পুলিশ সে ব্যাপারে যা বলার বলবে।”
ফের হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারণে রোগীরা খুব সাফার করছে। রোগীর মৃত্যু ঘটছে।” তবে আরজিকরে রোগী রেফার না করার কথা জেলাগুলিকে জানিয়েছেন বলেও তিনি এদিন দাবি করেন। এসইউসিআই শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সেই ধর্মঘট সফল না করারও কথাও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন।