
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য ইঁট মাথায় করে বয়ে আনছেন বেলডাঙামুখী মানুষজন। তাঁদের দাবি, এই ইঁট দিয়েই তৈরি হবে মসজিদ। শুধু মাথায় নয়, বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের স্বপ্নের মসজিদ তৈরির সফল করতে ইঁট আসছে ভ্যান, অটো, টোটো করেও। দুপুর বারোটায় শিলান্যাস হবে বাবরি মসজিদের। তার আগে জাতীয় সড়কে ধরে সকাল থেকেই শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় করছেন মারদিঘি এলাকায়। যেখানে প্রস্তাবিত জমিতে বাবর নামাঙ্কিত মসজিদের প্রতিষ্ঠা করতে চান হুমায়ুন।
আর সেই প্রস্তাবেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ভরতপুরের বিধায়ককে। উত্তরপ্রদেশের বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে তৃণমূল সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করে আজ। সেই সময় সংখ্যালঘু অধ্যূষিত জেলায় মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়ে ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছেন বিধায়ক। এই যুক্তিতে দল থেকে দূরত্ব বাড়াতে হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও পাল্টা যুক্তি হিসেবে উঠে আসছে সরকারি অর্থে দিঘায় মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও। যা কার্যত রেজাউল করিম, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর জেলায় বয়ে আনছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। এরজন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, বিজেপি’র শুভেন্দু অধিরকারীরা।
তবে অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, ” কোনও জায়গা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া মসজিদ তৈরি হতে পারে না। বেনামে যা খুশি তা কেউ করতে পারে না।” মসজিদ নির্মাণ করা নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।