দুয়ারে ‘দিদি’, তবু পর্যটনকে ‘পাত্তা’ দিলেন না তিনি

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে লালবাগে এলেন। একেবারে হাজারদুয়ারি প্যালেস লাগোয়া নবাব বাহাদুর ইন্সটিটিউশনের মাঠে সভা করলেন এক ঘন্টার বেশি। কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পের হয় উদ্বোধন করলেন না হয় শিলান্যাস করলেন। কিন্তু ইতিহাসের শহর মুর্শিদাবাদের পর্যটন শিল্পকে কী করে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা যায় তা নিয়ে রা পর্যন্ত কাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন ভার মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকল স্তরের মানুষজনের।

মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে জেলার পর্যটনকে সামনে রেখে ছ’দফা দাবি রাখা হয়েছিল কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সে সবের কোনও কথাই এদিন তাঁর বাঁধা চল্লিশ মিনিটের বক্তব্যে তোলেন নি। জেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনের সুবিধার জন্য একটি নদী বন্দরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব পত্রেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল ভাগীরথীর পূর্ব ও পশ্চিম পারের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি সেতু নির্মাণ হলে পর্যটক টানতে সুবিধা হবে। আর তা হলে পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি হবে।

একইসঙ্গে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য সাক্ষরিত ওই প্রস্তাবপত্রে ছিল জেলা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির প্রস্তাবও। ওই দাবিগুলি সরকার মেনে নিলে পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্ব পাবে মুর্শিদাবাদ, দাবি স্বপনের। তিনি বলেন, ” এর আগেও আমরা এই দাবি রেখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। উনি কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের ২২টি জেলায় উন্নয়ন পর্ষদ আছে। এই জেলাতেও হবে। আমি সেই দাবি থেকে সরছি না।” মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেসের সভাপতি অর্ণব রায়ও বলেন ” যেখান থেকে তিনি তাঁর বক্তব্য রাখলেন তার একশো মিটারের মধ্যে হাজারদুয়ারি আর নিউ প্যালেস। পর্যটন দফতরের অবহেলায় এই নিউ প্যালেস ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যার ওপর আমাদের শহর গড়ে উঠেছে সেই পর্যটনকে মুখ্যমন্ত্রী পাত্তা না দেওয়ায় আমরা শহরবাসী হিসেবে ব্যথিত। এই পর্যটনের শহর অন্ধকারে ছিল আগামীদিনেও অন্ধকারে থেকে যাবে।”

তবে মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ” সব কথা তো ঘোষণা করা হয় না। রাস্তাঘাট চওড়া হবে। আগামী দিনে দেড় কোটি টাকা খরচ করে শৌচাগার তৈরি হচ্ছে প্রায় প্রত্যেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য এলাকায়। সবকিছু জানতে গেলে বিরোধীদেরও বিষয়টি ভাল করে জানতে হবে।” তবে জেলা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলে বলেন, ” আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানেন যখন তখন সব হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights