সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদ: মেয়েদের রাত দখলে ভাগ বসাতে প্রস্তুত একদল। সূত্রের দাবি ‘ছদ্ম মানবতা’র বেশে বিক্ষুব্ধদের ভিড়ে মিশবে রাজ্যের শাসক দল। সমাজ মাধ্যমে তো বটেই। ‘আহা উহু’র আড়ালে মূল কর্মসূচিতেও অংশ নিতে প্রস্তুত শাসক দলের একাংশ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনে জড়িতদের শাস্তির দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি নারী স্বাধীনতার ডাক দিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মেয়েরা। আজ ১৪ অগস্ট রাত দশটা থেকে কোথাও তারও পরে রাজ্যের মূল শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামও সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাত দখলের প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজনৈতিক দলের পতাকা যেমন সেখানে থাকবে না তেমনি কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সেখানে ঢুকতে বাধাও দেওয়া হবে না। আর সেই ফাঁক গলে সেখানে “সহানুভুতির মুখোশে” ঢুকছে শাসকদল।
যার সঙ্গে তুলনা চলে আসছে সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের। হিন্দু-মুসলিম যেখানে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ তার পক্ষে সেখানে কুলোর হাওয়া দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে গুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল আইপ্যাকের মতো সংস্থা। যার জেরে ভোট ভাগ হয়ে ক্ষতি হয়েছে বাম-কংগ্রেসের দাবি ওই দুই রাজনৈতিক দলেরই। প্রকারান্তরে ভোট বেড়েছে তৃণমূল ও বিজেপির।
এক্ষেত্রে অবিকল সেই পন্থা অবলম্বন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামগ্রিক প্রতিবাদে কিছুটা ব্যাকফুটে মমতার দল। সেই হাওয়া থামিয়ে দিতে আরজিকর কান্ডে শাসকের অন্দরে বিক্ষুব্ধের ‘গল্প’ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা মহলে। আর তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধছে একাধিক মহলে। অথচ তার ছাঁকবার কোনো পন্থা নেই আজ রাতের কর্মসূচিতে। আজকের অভিজ্ঞতাই আগামী দিনে তাঁদের সেই ছাঁকনির রাস্তা দেখাবে বলে মনে করেন বহরমপুরে এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা সোনালী গুপ্ত। তিনি বলেন, “একটা ওপেন প্লাটফর্মে আমাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে যাঁরা আসবেন সেই সব শুভ শক্তিকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। আগামী কর্মসূচি ঝাড়াই বাছাই করে করতে হবে কি না তা ঠিক করে দেবে আজকের কর্মসূচি।”